তিন দলের প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে দেশের ক্রিকেট ফিরেছে মাঠে। তাতে ক্রিকেট পাড়ায় স্বস্তি ফিরলেও ব্যাটসম্যানদের পারফর্মেন্সে শঙ্কার হাওয়া বইছে দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই।
রোববার প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মাহমুদুল্লাহ একাদশ ও নাজমুল একাদশ। প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল্লাহ একাদশ করে মাত্র ১৯৬। সেই রান টপকাতেও নাজমুল একাদশকে পাড়ি দিতে হয়েছে কঠিন পথ।
দ্বিতীয় ম্যাচে রান যেন শুকিয়ে গেল আরও। মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিম একাদশ অল আউট হয় মাত্র ১০৩ রানে। সেটিও মাত্র ২৩.১ ওভারে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাহমুদুল্লাহ একাদশকেও ভুগতে হয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। স্কোরবোর্ডে এক রান ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত গিয়েছেন তিন ব্যাটসম্যান। মুমিনুল হক এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সামলে নেওয়ায় লজ্জা এড়ানো গেছে।
সব কিছু ছাপিয়ে চোখে পড়ছে ব্যাটসম্যানদের জড়তা। প্রথম ম্যাচে পিচ বোলারদের সাহায্য করছিল সামান্য। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটি অনুপস্থিত। ম্যাচ খেলা হচ্ছে মিরপুরের দুই নম্বর পিচে। যেটি রান বন্যার জন্য বিখ্যাত।
দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছেন বাজে ভাবে। বিশেষত দ্বিতীয় ম্যাচে। বোলাররা বল করেছেন দারুণ সেটা ঠিক। কিন্তু অধিকাংশ উইকেটের জন্যই কৃতিত্ব পেতে পারেন ব্যাটসম্যানরা, সঙ্গে বোলারদের থেকে ধন্যবাদও।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় প্রথম ম্যাচে সাব্বির রহমান কিংবা দ্বিতীয় ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন ও ইমরুল কায়েসের উইকেটের কথা। টাইমিং এর ভুলে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছেন এই চার জন।করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে প্রায় সাত মাস মাঠের বাইরে ছিলেন সকলে। প্রায় সকল ক্রিকেটারই ম্যাচ প্র্যাকটিসের বাইরে, ফলে সহজাত ব্যাটিং করতে সমস্যা হচ্ছে সকলের।
ব্যাটসম্যানদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাকালের অবসর। দুই মাস অনুশীলন করলেও, নেট সেশন এবং ম্যাচ সিচুয়েশনের মধ্যে তফাত আকাশ পাতাল। সেখানেই সমস্যায় ভুগছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।