প্রথম ম্যাচ লো-স্কোরিং হওয়ার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে রানের প্রত্যাশা ছিল দুই অধিনায়কের। কিন্তু বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ইনিংসে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই প্রত্যাশা। মাহমুদুল্লাহ একাদশের বোলারদের তোপে ১০৩ রানে গুটিয়ে গেছে তামিম একাদশ।
তামিম একাদশের সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে তানজিদ হাসানের ব্যাট থেকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ করেন এনামুল হক বিজয়। মাত্র চার জন ব্যাটসম্যান পৌছান দুই অংকের ঘরে, ছয় জন আউট হন পাঁচ কিংবা তার চেয়ে কম রানে।
এবাদত হোসেন বাদে মাহমুদুল্লাহ একাদশের অন্য বোলাররা ছিলেন উজ্জ্বল। রুবেল হোসেন ও সুমন খান শিকার করেন তিনটি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন দুই স্পিনার মেহেদি মিরাজ ও আমিনুল ইসলাম।
উইকেট শিকারের পাশাপাশি রান আটকানোতে দারুণ ছিলেন রুবেল ও মিরাজ। রুবেল পাঁচ ওভারে রান দিয়েছেন ১৬। চার ওভার এক বল করে মিরাজ রান দিয়েছেন দুই। চার ওভারের দুটি ছিলো মেইডেন।
টস জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তামিম একাদশের হয়ে ইনিংস শুরু করেন দুই ‘তামিম’। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
খেলা শুরুর পর তিন ওভার পর আঘাত হানে বৃষ্টি। এর আগে তামিম একাদশ হারিয়েছে তাদের অধিনায়ককে। রুবেল হোসেনের ইনসুইঙ্গারে এলবিডাব্লিউ হন তামিম।
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘন্টা, কেড়ে নেয় ইনিংসের তিন ওভার। বিরতির পর দারুণ শুরু করেন ‘ছোট’ তামিম। দারুণ কিছু শট খেলে দ্রুত পৌছে যান ২৭ রানে। এরপর আবারও রুবেলের আঘাত।
বেশিক্ষণ টেকেননি মাঠে আসা মোহাম্মদ মিঠুন। রুবেলের তৃতীয় শিকার হয়ে পথ ধরেন ড্রেসিং রুমের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তামিম একাদশ। ১২ বলের ব্যবধানে সুমনের শিকার হয়ে একে একে ফিরে যান শাহাদাত হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন ও এনামুল হক বিজয়, দলের স্কোর দাঁড়ায় ৬৮/৬।
সপ্তম উইকেটে ২১ রানের ছোট জুটি গড়েন সাইফুদ্দিন ও মেহেদি হাসান। আমিনুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ১৯। এরপর তারা যোগ করতে পারে মাত্র ১৪ রান। তামিমের দল গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। তিন ওভারের মধ্যেই তারা হারায় তিন উইকেট, স্কোরবোর্ডে কোন রান তুলবার আগেই। মুস্তাফিজুর রহমানের নিরীহ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন নাইম শেখ। পরের ওভারে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস ফিরে যান সাইফুদ্দিনের শিকার হয়ে।বিপদ সামলে নেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও মুমিনুল হক। তাদের ৩৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে মাহমুদুল্লাহর দল। ১০ রানে আউট হলেও ততক্ষণে মাহমুদুল্লাহ খেলে ফেলেছেন ৩৯ বল। তাতে লজ্জা থেকে রেহাই পেয়েছে তার একাদশ।
নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। তাকে ৩৯ রানে ফেরান তাইজুল ইসলাম। সাব্বির রহমানকে নিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন নুরুল হাসান সোহান। ৩৮ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।
তামিম একাদশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সাইফুদ্দিন ও তাইজুল, অন্য উইকেটটি শিকার করেন মুস্তাফিজ। ম্যাচসেরা হয়েছেন রুবেল। সেরা বোলার সুমন খান। সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হন নুরুল হাসান সোহান। সেরা ফিল্ডারের পুরষ্কার পান আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।