প্রেসিডেন্টস কাপ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ একাদশকে চার উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন একাদশ। দুই তরুণ ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে ৫৩ বল আগেই সহজ জয় পায় নাজমুলের দল।
টস জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে মাত্র ১৯৬ রানেই তারা গুটিয়ে দেন মাহমুদুল্লাহ একাদশকে। মাহমুদুল্লাহ একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাদের অধিনায়ক, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ করেন ইমরুল কায়েস।
জবাবে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নাজমুল একাদশ, উইকেটে জমে বসতে পারেননি তাদের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউই। এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে একে একে ফিরে যান সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম, অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শিকার হয়ে ফিরে যান আফিফ হোসেন।
অধিনায়ক শান্তকে যখন ফেরান অনূর্ধ্ব-১৯ তারকা রকিবুল হাসান, তার দল তখন পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয় থেকে ১২৮ রান দূরে।
এরপর জুটি বাঁধেন তৌহিদ ও ইরফান, ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নেন জয়ের দিকে। নিজেদের জুটির মাঝে দুই ব্যাটসম্যানই তুলে নেন নিজেদের ফিফটি। ফিফটি ছুঁতে তৌহিদ খরচ করেন ৬২ বল, অন্যদিকে ৭০ বলে ফিফটিতে পৌছান ইরফান।
ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে যখন ফেরেন তৌহিদ হৃদয়, জয় তখন মাত্র ১৩ রান দূরে।
এরপর আর কোন ভুল করেনি নাজমুল একাদশ। নাঈম হাসানকে নিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন ইরফান, অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে।
মাহমুদুল্লাহ একাদশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন এবাদত হোসেন, একটি করে উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ, বিপ্লব এবং রকিবুল।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। ১০৫ রানের জুটিতে তার সঙ্গী ইরফান শুক্কুর নির্বাচিত হন ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে। একই দলের তাসকিন আহমেদ নির্বাচিত হন দলের সেরা বোলার হিসেবে, রিশাদ হোসেন পান ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের পুরষ্কার।
এর আগে দারুণ বোলিংয়ে শুরুর দশ ওভারের পাওয়ার প্লেতে মাহমুদুল্লাহ একাদশের তিন উইকেট তুলে নেয় নাজমুল একাদশ। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ৪০ মিনিট। বৃষ্টির পর প্রথম ওভারেই পয়েন্ট থেকে রিশাদ হোসেনের দারুণ থ্রোতে আউট হন নাইম শেখ।
লিটন দাস ফিরে যান ১১ রানে। তাসকিন আহমেদের ইনসুইঙ্গারে বল লিটনের ব্যাটের ভেতরের অংশ ছুঁয়ে তার স্টাম্পে লাগে।
টু-ডাউনে নামা মুমিনুল হককে শূন্য রানে আউট করেন আল-আমিন হোসেন। ডানহাতি পেসারের বলে বোল্ড হন টেস্ট অধিনায়ক।
সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয় ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জুটি। রানের চাকা সচল রেখে ইনিংস সামাল দেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। নাঈম হাসানের বলে ইমরুল কায়েস ৪০ রানে আউট হবার আগে, এই দুইজন যোগ করেন ৭৩।
এরপর আর উল্লেখযোগ্য জুটি গড়ে তুলতে পারেনি মাহমুদুল্লাহ একাদশ। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক নাজমুলের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট নুরুল হাসান সোহান করেন ১৪। ততক্ষণে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদুল্লাহ, তিন চার ও এক ছয়ে নির্মিত ফিফটিতে তিনি পৌছান ৮০ বলে।
মুকিদুলকে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন মাহমুদুল্লাহ। দ্রুত ২২ রান করা সাব্বির ফিরে যান একই ওভারে। নিজের বোলিংয়ে ক্যাচ নিয়ে তাকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখান মুকিদুল। বেশিক্ষণ টেকেননি আমিনুল ইসলাম, তিনি ফেরেন তাসকিন আহমেদের দ্বিতীয় উইকেট হয়ে।
রকিবুল হাসান ও আবু হায়দারের ছোট দুই ইনিংসে মাহমুদুল্লাহর দল আশা দেখছিল ২০০ পার হওয়ার, তবে সেটি দেননি আল-আমিন ও সৌম্য সরকার। শেষ দুই উইকেট তুলে নেন দুই জন।