তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট দিয়ে ১১ অক্টোবর মাঠে ফিরছে দেশের ক্রিকেট। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানায়, টুর্নামেন্টটির নাম হতে যাচ্ছে ‘প্রেসিডেন্টস কাপ’।
‘তামিম একাদশ’, ‘মাহমুদুল্লাহ একাদশ’ ও ‘শান্ত একাদশ’ নামের দলগুলো চারটি করে ম্যাচ খেলার পর ২৩ অক্টোবর ফাইনালে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল। এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেট ফিরলেও, তাতে থাকছে না কোন পৃষ্ঠপোষক। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'এটা একদমই বিসিবির মধ্যে করা হচ্ছে। বিসিবির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সবসময়ই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয় এবং স্পন্সরও নেওয়া হয় এটা ঠিক। কিন্তু এই টুর্নামেন্টের জন্য আপাতত আমাদের যে পরিকল্পনা তাতে কোন স্পন্সর নেই।
খেলোয়াড়রা টুর্নামেন্ট থেকে কোন সম্মানী পাবেন কিনা তা নিয়েও অনিশ্চিত বিসিবি। প্রধান নির্বাহী জানান, এই টুর্নামেন্টে না হলেও, পরবর্তী যে টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা তাদের, সেখানে খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয়টি রাখছেন তারা।
'আর্থিক ব্যাপারগুলো অবশ্যই আমাদের বিবেচনায় আছে। কীভাবে দিব বা কীভাবে বিষয়টাকে অ্যাড্রেস করা যায় সে ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। কিছু পরিকল্পনাতো আছেই', বলেন প্রধান নির্বাহী।
করোনা-পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট খেলার আনুষাঙ্গিক অংশ হয়ে উঠেছে জৈব নিরাপত্তা বলয়। এই টুর্নামেন্টেও সকল খেলোয়াড় এবং স্টাফকে রাখা হবে জৈব নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর।
নিজামউদ্দিন চৌধুরি আরও যোগ করেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তারা চেষ্টা করবেন যত দ্রুত সম্ভব দেশে ক্লাব ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ২০২০ সালে তিনটি টি-টোয়েন্টি আয়োজনের পরিকপল্পনা ছিলো বিসিবির, কিন্তু করোনার জন্য ভেস্তে যায় সেটি। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানালেন, এখনও সেটি তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা পুনরায় তা আয়োজনের চেষ্টা চালাবেন।
“মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে আমাদের নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা ছিল। আমরা কিন্তু সেটাকে এখনো একেবারেই আমাদের পরিকল্পনার বাইরে নিয়ে যাইনি। আমাদের প্ল্যানিং সেভাবেই আছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এটা আয়োজন করার প্ল্যান আছে,” জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী।