জাতীয় দলে তাসকিন আহমেদের অভিষেক হয় দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার হিসেবে। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর, পেস দিয়ে নজর কাড়লেও, ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগেছেন এই ডানহাতি পেসার।
ক্রিকেটে ধারাবাহিকতাই সাফল্যের মূলমন্ত্র সেটা এখন জানেন তাসকিন। সে কারণে ফিটনেসের দিকে জোর বেশি দিচ্ছেন জাতীয় দলের স্কিল ক্যাম্পে। ফিটনেস ঠিক থাকলে, ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব এমনটাই বিশ্বাস করেন তিনি।
মঙ্গলবার মিরপুরে স্কিল সেশন শেষে তাসকিন বলেন,'আগের চেয়ে আমার ফিটনেসের উন্নতি হয়েছে, কিন্তু উন্নতির কোন শেষ নেই। আমি যদি নিজেকে বিশ্বমানের কাতারে নিতে চাই, আমাকে আরও ধারাবাহিক হতে হবে, তাই আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আশা করি, ভবিষ্যতে ভালো কিছু ঘটবে এবং আমি ফিটনেস ও স্কিলের উন্নতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো যেন আরও ধারাবাহিক হতে পারি।'
২০১৯ সালের বিপিএলে কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে কাজ করার পর বিশ্বকাপে সুযোগ পাবার আশায় ছিলেন তাসকিন। কিন্তু ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তার।
এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে আবারো নির্বাচকদের নজরে আসেন তাসকিন, কিন্তু করোনার কারনে দেশের ক্রিকেট কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে, হতাশায় পড়েন তিনি। লক ডাউনের সময় অনলাইনে কোচের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেছেন এবং যা ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরুর পর ছন্দ ফিরে পেতে তাকে সাহায্য করেছে।
তাসকিন বলেন, 'আগের চেয়ে ভালো ছন্দে আছি এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। আমি আমার গতি ও সিমের অবস্থান নিয়ে কোচদের সাথে কাজ করছি করছি। যদি সুস্থ ও ফিট থাকলে ছন্দ ফিরে পাব আশা করছি। ছন্দের পাশাপাশি, সিম পজিশন আর গতিও ভালো হবে আশা করছি।'