প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয়টিতে ইংল্যান্ড জয় পাওয়ায় দুই দলের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় আছে। ফলে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি হয়ে গেছে অঘোষিত ফাইনাল। এ ম্যাচের বিজয়ী দল সিরিজও নিজেদের করে নিবে। ম্যানচেস্টারে বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ এই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়।
বিশ্বকাপ সুপার লিগের দ্বিতীয় সিরিজ হলো- ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ। প্রথম ম্যাচে ১৯ রানের জয়ে সিরিজে দারুন যাত্রা করে অস্ট্রেলিয়া। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটি নিজেদের দোষেই হারে সফরকারী দল।
জয়ের পথে থেকে অস্ট্রেলিয়ার এমন হারের কারন হতবিহ্বল অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় শতভাগ থাকতে পারছি না। আমরা হঠাৎ করে সবকিছুতে গোলমাল করে ফেলছি। দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট অবশ্য কঠিন ছিল। আমরা জানতাম নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য এই উইকেটে খেলা কঠিন হবে। কন্ডিশন কঠিন থাকলেও, এভাবে ব্যাটিং ধসের কোন অজুহাত নেই। আমাদের জয়ের ভালো সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যর্থ। এই হারের দায় ব্যাটসম্যানদেরই নিতে হবে।’
মাথার ইনজুরিতে সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে খেলতে পারেননি দলের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। শেষ ম্যাচে তাকে পাবার ব্যাপারে আশাবাদি টিম ম্যানেজমেন্ট। তারপরও সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের সতর্ক করলেন ফিঞ্চ, ‘আগের ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। সিরিজ জিততে হলে, ভালো খেলা ছাড়া উপায় নেই।’
২০১৫ সালে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিলো তারা। এরপর দু’বার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেও, দু’টি সিরিজই হারে অসিরা। এরমধ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ডের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হয় অস্ট্রেলিয়া। আর গত বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই বারের দেখায়, একবার ম্যাচ জিতে অজিরা।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হারই ইংল্যান্ডের সর্বশেষ পরাজয়। এরপর দেশের মাটিতে আর কোন দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হারেনি ইংলিশরা। টানা নয়টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে তারা। এছাড়া দেশের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের বড় অর্জন তো আছেই। দেশের মাটিতে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ওইন মরগান আত্মবিশ্বাসী নিজের স্কোয়াড নিয়ে, ‘পিছিয়ে পড়েও যেভাবে আমরা সিরিজে ফিরেছি, তা প্রশংসনীয়। দ্বিতীয় ম্যাচে নিশ্চিত জয়ের পথেই ছিলো অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে বোলাররা এভাবে ম্যাচ ঘুড়িয়ে দিবে, ভাবাই যায় না। এজন্য বোলারদের প্রশংসা করতেই হয়। এখন সিরিজ জয়ের পালা, শেষ ম্যাচে ভালো খেলে টি-টোয়েন্টির মত ওয়ানডে সিরিজও আমরা জিততে চাই। পাঁচ বছর ধরে দেশের মাটিতে ওয়ানডে আমাদের সাফল্য ঈর্ষনীয়। কোন সিরিজ হারিনি আমরা। এই ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ১৫১ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে ৮৩টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের জয় ৬৩টি।