প্রথম ম্যাচে হারের তিক্ততা নিয়েই ম্যানচেস্টারে নামে ইংল্যান্ড। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের অধিনায়ক ওইন মর্গান টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ১০ ওভারেই দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং জেসন রয়কে হারায় স্বাগতিক দল। রয় ২১ রানে রান আউট হন আর বেয়ারস্টোকে শূন্য রানে ফেরান মিচেল স্টার্ক।
মর্গান ও জো রুট মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালান। কিন্তু অজি স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে আউট হয়ে যান দুইজনই। মর্গানকে ৪২ আর রুটকে ৩৯ রানে ফেরান এই লেগস্পিনার।
শেষ দিকে ক্রিস ওকস, আদিল রাশিদ আর টম কারেনের ব্যাটে লড়াই করার মত পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। ২৬ রান করেন ওকস। আর নবম উইকেটে ৭৬ রান যোগ করেন রাশিদ আর কারেন। কারেন করেন ৩৭ আর রাশিদের ব্যাট থেকে আসে ৩৫। নয় উইকেটে ২৩১ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
জবাবে, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশ পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার, মার্কাস স্টয়নিস, মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কেউই দুই অংকের রান করতে পারেননি।
অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্নাস ল্যাবুশেইন অজিদের সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই দুইজনের বিদায়ের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারী দল। ফিঞ্চ করেন ৭৩ আর ল্যাবুশেইনের ব্যাট থেকে আসে ৪৮।
আট বল আগে ২০৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে জফ্রা আর্চার, ওকস আর স্যাম কারেন তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন আর্চার। বুধবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ একই ভেন্যুতে।