বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থকষ্টে থাকা তিন যমজের মাকে উপহার পলকের

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২২ ১০:৪১

যমজ শিশুদের বাবা লিটন উদ্দিন বলেন, ‘অভাবের সময়ে অনেক বড় উপহার পেলাম। বাচ্চাদের দুধ কিনতে ধারদেনা করেছি। পলক ভাইয়ের কথা অনেক শুনেছি। কখনও সামনাসামনি দেখিনি। আজ তার এই সহযোগিতার কথা আজীবন মনে থাকবে। ছোট শিশুদের জন্য দুধের টাকা পাঠিয়ে দিয়ে তিনি মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।’

গত বছরের ২৪ নভেম্বর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুরের লিটন-লাভলী দম্পতির ঘর আলো করে একসঙ্গে জন্ম নেয় চার কন্যাশিশু। জন্মের পর পরই একটি শিশু মারা গেলেও তিন কন্যা আনন্দ নিয়ে আসে পরিবারে। তবে দারিদ্র্য সেই আনন্দ ফিকে করে দেয়। আগের দুই ছেলেমেয়েসহ পাঁচ সন্তান নিয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাতে হচ্ছে এই দম্পতিকে।

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নিউজবাংলায় একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচার হয়। প্রতিবেদনটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলকের নজরে এলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপহারস্বরূপ এ তিন শিশুর জন্য নিউজবাংলার প্রতিনিধির মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দেন প্রতিমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে অসহায় এ পরিবারটিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। স্বাধীনতা দিবসের মাহেন্দ্রক্ষণে প্রতিমন্ত্রীর দেয়া টাকা লিটন-লাভলী দম্পতির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা।

যমজ শিশুদের মা লাভলী বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাচ্চাদের ঠিকমতো দুধ কিনে দিতে পারছিলাম না। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন বাচ্চাদের দুধ কেনার জন্য। এটা যে কত বড় খুশির খবর, তা বলে বোঝাতে পারব না।’

বাবা লিটন উদ্দিন বলেন, ‘অভাবের সময়ে অনেক বড় উপহার পেলাম। বাচ্চাদের দুধ কিনতে ধারদেনা করেছি। পলক ভাইয়ের কথা অনেক শুনেছি। কখনও সামনাসামনি দেখিনি। আজ তার এই সহযোগিতার কথা আজীবন মনে থাকবে। ছোট শিশুদের জন্য দুধের টাকা পাঠিয়ে দিয়ে তিনি মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।’

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘পলক ভাই আমাদের দুঃখ দূর করার উদ্যোগ নেবেন বলে শুনলাম। আমরা পলক ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করি। তিনি যেন সুস্থ থাকেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর সিজারের মাধ্যমে চার কন্যাশিশুর জন্ম দেন বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের গৃহবধূ লাভলী বেগম। এর মধ্যে এক শিশু মারা গেলেও বাকি তিন কন্যা লাবন্য, লাবিবা ও লামিশা সুস্থ আছে। তাদের জন্য স্বজন ও প্রতিবেশীরা সব সময় আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে থাকে।’

আরেক বাসিন্দা জাহিদ হাসান বলেন, ‘লিটন-লাভলী দম্পতির আগেই লিমন হোসেন নামে ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং লিজা খাতুন নামে ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। পরে একসঙ্গে চারটি শিশুর জন্ম হয়। টাকার অভাবে সন্তানদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারছেন না তারা।’

‘লিটন অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। এই স্বল্প আয়ে চলা খুবই কষ্টকর। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগিতায় স্থানীয়রাও খুশি। তারাও চাইছেন প্রতিমন্ত্রী অসহায় এই পরিবারটিকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবেন।’ বলেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর