বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীনের জানাজার জন্য প্রস্তুত জন্মভিটা

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২২ ১৪:১৯

রাষ্ট্রপতির ভাতিজা সোহরাব উদ্দিন আহমদ জানান, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে করে সাহাবুদ্দীন আহমদের মরদেহ পেমই গ্রামে নিয়ে আসা হবে। এরপর এখানে প্রথম জানাজা শেষে আবারও মরদেহটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা হবে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই গ্রামে। এরই মধ্যে সেখানে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতির ভাতিজা সোহরাব উদ্দিন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে করে সাহাবুদ্দীন আহমদের মরদেহ পেমই গ্রামে নিয়ে আসা হবে। এরপর এখানে প্রথম জানাজা শেষে আবারও মরদেহটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে সাহাবুদ্দীন আহমদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

সাহাবুদ্দীন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ ২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ড. সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। এখন সাহাবুদ্দীন আহমদের এক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এবং এক মেয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

১৯৯০-এর ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়।

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। এরপর ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। এরপর প্রশাসক হিসেবে গোপালগঞ্জ ও নাটোর মহকুমায় চাকরি করেন। পরে ১৯৬০ সালে বিচার বিভাগে বদলি হন। তিনি ঢাকা ও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং পরে কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৭ সালে সাহাবুদ্দীন আহমদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হন। পরে ১৯৮১ সালের ১৬ এপ্রিল নিয়োগ পান আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে।

এ বিভাগের আরো খবর