বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু আল্লাহর ইচ্ছায়, বললেন পরিচালক

  •    
  • ৮ মার্চ, ২০২২ ১৭:০৬

মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ আব্দুল মন্নান বলেন, ‘অনেক ছাত্র পড়িয়েছি, অনেক ছাত্র গেছে। এরকম ঘটনা কোনো সময় ঘটেনি। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। আমাদের কোনো ছাত্র-শিক্ষকের কারণে ঘটনা হয়েছে- আমি মনে করি না।’

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে একটি মাদ্রাসা থেকে এক শিশু ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের পর মাদ্রাসাটির পরিচালক বললেন ‘এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে’।

পাঁচলাইশের আলী বিন আবি তালিব (রাঃ) মাদ্রাসার পেছন থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মো. আরমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ আব্দুল মন্নান।

তিনি বলেন, ‘অনেক ছাত্র পড়িয়েছি, অনেক ছাত্র গেছে। এরকম ঘটনা কোনো সময় ঘটেনি। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। আমাদের কোনো ছাত্র-শিক্ষকের কারণে ঘটনা হয়েছে- আমি মনে করি না।’

‘আমি যতটুকু জানি, ছাদ থেকে ও (আরমান) জাম্প দিছে অথবা নামতে চেয়ে পড়ে গেছে। ওখানে (ছাদে) যে উঠছে এটার ভিডিও ফুটেজ আছে। প্রশাসন ওইগুলো দেখছে।’

মাদ্রাসায় বিকেলে খেলাধুলার পর মাগরিবের ২০ মিনিট আগে নামাজের প্রস্তুতির জন্য একটি বেল দেয়া হয় জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে কেউ বাথরুমে ঢুকে, কেউ অজু খানায় ঢুকে, সব এলোমেলো থাকে। সে চারতলা পর্যন্ত গেছে, তখন চলে গেছে মনে হয়।’

সোমবার আসরের সময় মাদ্রাসার ছাত্ররা খেলাধুলা করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘মাগরিবের পর দেখা যায় ক্লাসে ওনি (আরমান) নেই। ক্লাসের ওস্তাদ (জিম্মাদার) বলেছেন, আরমান কোথায়, দেখতেছি না। ভেতরে সব দেখছে, পাওয়া যায়নি।’

খুঁজে না পেয়ে পরে আরমানের মায়ের কাছে ফোন করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘মাও বলতেছে বাড়িতে আসেনাই। কারণ, সাধারণত এরকম হেফজখানা থেকে কিছু ছাত্র মাঝে মাঝে যায়, অভিবাবকরা আবার নিয়ে আসে। তো আমরাও মনে করছি সে বাড়িতে গেছে, অভিভাবকরা আবার নিয়ে আসবে।’

এদিকে নিহত আরমানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক আব্দুল মন্নান বলেন, ‘যিনি পড়ান, ওনার বয়স না হলেও ৬০ থেকে ৬৫ হবে। ওনি তাহাজ্জুদ গুজার, বহুত দিনদার মানুষ। দিনদার হিসেবে ওনাকে এখানে আমি রাখছি। ওনি আজ প্রায় ১৭ বছর মাদ্রাসায়। শিক্ষকতা করছে ৩০/৪০ বছরের কম না।’

‘সেরকম কোনো অন্যায়-অভিযোগ যদি হয়, তাহলে পরিচালক হিসেবে আমি আছি, আমি এটা সহ্য করব না। শিক্ষকরা একটা অন্যায় করবে, জুলুম করবে, তাহলে এদের নিয়ে আমি মাদ্রাসা করতে চাই না। এ রকম যদি হয়ে থাকে, আল্লাহ পাকের রহমত বন্ধ হয়ে যাবে।’

এর আগে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নগর পুলিশের কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যেটা বুঝতে পেরেছি, বাচ্চাটা উপরে উঠে কোনোভাবে এক্সিডেন্টালি নিচে পড়ে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বাকিটা জানা যাবে।

যৌন নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা যে অভিমত দিবেন, সেটাকেই আমরা চূড়ান্ত হিসেবে নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর