চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে একটি মাদ্রাসা থেকে এক শিশুর গলা কাটা দেহ উদ্ধারের চারদিনের মাথায় আরও এক মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাঁচলাইশে আলী বিন আবি তালিব (রাঃ) নামে একটি মাদ্রাসার পেছন থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মো. আরমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পাঁচলাইশ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ১৪ বছর বয়সী আরমান নগরীর একই থানা এলাকার মির্জাপুলের আলী আব্বাসের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
আব্বাস উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়, আমার ছেলে নিখোঁজ। সারা রাত আমরা তাকে খুঁজছি, কিন্তু কোথাও পাইনি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসা থেকে ফোন দিয়ে বলে মাদ্রাসায় যেতে। মাদ্রাসায় এসে দেখি আমার ছেলের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে তুলতেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর কয়েকদিন আগে মারধরের কারণে সে মাদ্রাসা থেকে চলে আসতে চেয়েছিল। ও সম্পূর্ণ হিফজ শেষ করেছে। মাত্র একমাস আগে রিভিশনের জন্য তাকে ওই মাদ্রাসায় দেয়া হয়েছিল।’
আরমানের সহপাঠী ফয়সাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মাগরিবের ১০ মিনিট আগে ও ছাদে গেছে, আর ছাদ থেকে নামেনাই।’
পরিদর্শক সাদেকুর বলেন, ‘খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসার পেছন দিক থেকে আরমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার এক হাত ভাঙা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে শনিবার বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের আল্লামা শাহ আছিয়র রহমান হেফজখানা ও এতিমখানা থেকে ইফতেখার মালেকুল মাশফি নামে এক শিশু ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় তার গলা কাটা দেহ পাওয়া যায়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এদিন সকালে মাদ্রাসায় সবক (তালিম) দেয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল মাশফি।
এ ঘটনায় করা মামলায় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু জাফরকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এ ছাড়া মাশফি হত্যায় আরও দুই শিক্ষকের সরাসরি সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে।