পাবনার হেমায়েতপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলাম নিলুর স্ত্রী মালেকা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার নাদিরপুর হাটপারার নিজ বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নিহত শামীম হোসেনের বাবা নুর আলী প্রামাণিক বুধবার রাতে তরিকুল ইসলাম নিলুসহ তার পরিবারের ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরপর নিলুর স্ত্রী মালেকা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
‘বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ অভিযান করছে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শামীম হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হন। শামীম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনার পর স্থানীয়দের বরাতে ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামের একটি দোকানে সন্ধ্যায় কথা বলছিলেন ইউপি নির্বাচনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামীম হোসেন। এ সময় পরাজিত আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলামের লোকজনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে তারা তরিকুলকে খবর দেয়। তিনি এসেই লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে শামীমকে গুলি করেন। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত তাকে ঘোষণা করেন।’