বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিক্ষোভ করায় ৩৮ পোশাকশ্রমিককে বরখাস্ত

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ২৩:১৫

বিক্ষোভে অংশ নেয়া কয়েকজন শ্রমিক জানান, হঠাৎ করে মজুরি কমিয়ে দেয়া, অতিরিক্ত কাজের (ওভার টাইম) মজুরি না দেয়া, দুপুরের খাবারের সুযোগ না দেয়া, নিম্নমানের টিফিন সরবরাহ, কর্মকর্তাদের খারাপ আচরণসহ নানা কারণে তারা অসন্তুষ্ট ছিলেন।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্ষোভ করায় একটি পোশাক কারখানার ৩৮ শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

শ্রীপুর পৌর এলাকার এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড নামের ওই কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা কাজী ইকবাল হোসেন সোমবার বিকেলে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববারের ওই বিক্ষোভের ঘটনার পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্য থেকে ওই ৩৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইকবাল নিউজবাংলাকে বলেন, ওই শ্রমিকরা অন্যান্য শ্রমিকদের আন্দোলনে উসকে দিয়েছে। আল আমিন নামের কারখানার এক কর্মকর্তাকে তারা মারধর করেছে, ভাঙচুরও চালিয়েছে। এসব কারণে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান কারখানার এই কর্মকর্তা।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া কয়েকজন শ্রমিক জানান, হঠাৎ করে মজুরি কমিয়ে দেয়া, অতিরিক্ত কাজের (ওভার টাইম) মজুরি না দেয়া, দুপুরের খাবারের সুযোগ না দেয়া, নিম্নমানের টিফিন সরবরাহ, কর্মকর্তাদের খারাপ আচরণসহ নানা কারণে তারা অসন্তুষ্ট ছিলেন।

এ কারণে রোববার সকালে কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার মূল ফটকের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন। পরে দুপুর ২টার দিকে কারখানা একদিনের ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

কারখানার প্যাকিং বিভাগের শ্রমিক খাইরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনিতেই চলতে কষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে বেতন কমিয়ে দেয়ায় আমাদের চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’

লিংকিং বিভাগের শ্রমিক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘১৪ ঘণ্টা কাজ করিয়ে আমাদের মজুরি দেয়া হয় ১০ ঘণ্টার। ছুটির দিনও কাজ করানো হয়। অথচ মজুরি দিতে টালবাহানা করে কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুতির হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ কারখানায় এখন আর কাজের পরিবেশ নেই।’

বিক্ষোভের পর কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানিয়েছিলেন, শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। বাৎসরিক বোনাসের টাকা পরিশোধ করা হবে। অন্যান্য দাবির বিষয়েও তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

পরদিনই কারখানা বন্ধ করে ৩৮ শ্রমিককে বরখাস্ত করল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের শ্রীপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানান, কারখানায় ভাঙচুর ও এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ তুলে ৩৮ শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে মালিকপক্ষ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ বিষয়ে বরখাস্ত হওয়া ওই শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর