মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা ও মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি উপজেলার জুশুরগাও এলাকার রোববার গভীর রাতের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোমবার সকালে স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে গেলে পুলিশ নজরুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করে।
শ্রীনগর ও লৌহজং সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজনের ও নজরুলকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আসাদুজ্জামান জানান, নিহত নারীর নাম রাবেয়া বেগম। তার বাড়ি ফরিদপুরের সালথায়। পাঁচ মাস আগে নজরুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে শ্রীনগরের জুশুরগাও এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তারা।
পারিবারিক কোনো বিষয় নিয়ে রোববার রাতে তাদের মধ্যে কলহ হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে ধাক্কা দেন নজরুল। রাবেয়া ছিটকে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে যান।
তার মৃত্যু হয়েছে বুঝে মরদেহের গলায় রশি পেঁচিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন নজরুল। সকালে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করে তিনি জানান, রাবেয়া আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহ তিনিই নিয়ে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
শ্রীনগর থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় নজরুলকে আটক করে।
অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাবেয়ার বাবা শায়েখ শেখ সোমবার সন্ধ্যায় নজরুলের নামে মামলা করেন। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।