পাবনার বেড়ায় ভাতিজার মারপিটে হাতেম আলী নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ সাকিল ও সুরুজ নামের দুই জনকে আটক করেছে।
রোববার রাতে মারধরে আহত হাতেম সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
৫৫ বছর বয়সী হাতেম আলী বেড়া পৌর এলাকার বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বেড়া পৌর এলাকার বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের বাতেন প্রামানিকের ছেলে সজিবের বিয়ে ঠিক হবার পর হঠাৎ কনে পক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়। এর পেছনে চাচা হাতেমের হাত আছে বলে সন্দেহ করেন সজিব।
এ নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় তারা পারিবারিকভাবে ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। সজিব উপস্থিত ছিলেন না। তার ভাই সুরুজ আলী ও সাকিলসহ পরিরবারের অন্যরা বৈঠকে ছিলেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে তারা সজিবের বিয়ে ভাঙার জন্য হাতেম আলীকে দোষারোপ করেন। এ অভিযোগ তিনি অস্বীকার করলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সাকিল ও সুরুজ চাচাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
পুলিশ জানায়, হাতেমকে গুরুতর আহত অবস্থায় বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যালে তার মৃত্যু হয়।
বেড়া মডেল থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাকিল ও সুরুজকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।