বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নিয়ম ভেঙে’ খেলার মাঠে মাদ্রাসা সুপারের ধান চাষ

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ১৪:১৬

জিলানি নামে মাদ্রাসা এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘করোনাতে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় আমরা যেতে পারছি না। আর সেই সুযোগে আমাদের মাঠে ধান চাষ করতেছে হুজুররা। এখন আমরা মাদ্রাসার মাঠে খেলতেও যাইতে পারি না।’

মাদ্রাসার সঙ্গেই বিশাল খেলার মাঠ। সেই মাঠে খেলাধুলা করত শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে শামিল হতো আশপাশের ছেলে-মেয়েরাও।

কিন্তু হঠাৎ করেই সেই মাঠে ধানের চারা রোপণ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এতে বন্ধ হয়ে গেছে শিশুদের আনাগোনা। উচ্ছ্বাস ও হৈ-হুল্লোড় ছড়ানো মাঠে ভর করেছে শুনসান নীরবতা।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির দাবি, এতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বরং মাঠে ফেলে না রেখে ধান আবাদ করায় নন এমপিওভুক্ত এই প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে।

তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, খেলার মাঠের প্রকৃতি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। সেটি শিশুদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে নেয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল চন্দন চহটের ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালে। প্রায় ২ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ।

এই বন্ধ থাকার সুযোগে মাদ্রাসার প্রায় দেড় একর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, এ কাজে সহায়তা করছেন মাদ্রাসার সুপার মমতাজ আলী ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

জিলানি নামে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘করোনাতে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় আমরা যেতে পারছি না। আর সেই সুযোগে আমাদের মাঠে ধান চাষ করতেছে হুজুররা। এখন আমরা মাদ্রাসার মাঠে খেলতেও যাইতে পারি না।’

মাদ্রাসা সুপার মমতাজ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদ্রাসার কার্যক্রম চলছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারি না।

‘অফিস সহকারীর অনুরোধে করোনায় ধান চাষের অনুমতি দিয়েছি। তাছাড়া মাদ্রাসা বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা তো করে না।’

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাদ্রাসা এমপিও ভুক্ত হয়নি। করোনার জন্য বন্ধও রয়েছে। তাই ফেলে না রেখে অফিস কর্মচারী ধান রোপণ করেছেন। এতে সমস্যা তো দেখছি না।’

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাঠে ধান চাষ করার কোনো বিধান নেই। মাঠটি খেলার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।

‘বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারকে ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর