ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। বিপাকে পড়েছে নদীতীরের মানুষ। কাজীপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, তেকানি, মুনসুরনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হওয়া ভাঙনে যমুনায় বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। নদীতীর থেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙনকবলিতরা।নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, এই ইউনিয়নে ব্যাপক আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। এরই মধ্যে বেশকিছু বাড়ি-ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি।সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভুঁইয়া বলেন, যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাচ্ছে গোচারণ ভূমি ও ফসলি জমি। পানিবন্দি হতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা আব্দুল লতিফ জানান, গত ৩০ ঘণ্টায় যমুনার পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের ওমর ফারুক জানান, যমুনার পানি মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি আরও দু-এক দিন বাড়তে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম নিউজবাংলাকে জানান, ‘যমুনা নদীতে পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।’