পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিচয় ও ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণার অভিযোগে নওগাঁর এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার খাগড়া গ্রাম থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম পেশায় মুদি দোকানি। তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে।
রোববার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া।
এসপি জানান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির সরকারি নম্বরের হোয়াটঅ্যাপ আইডিতে বেনজির আহমেদের ইউনিফর্ম পরা ছবিযুক্ত একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি ‘হাই’ লিখে পাঠানো হয়। নিজের মোবাইল ফোনে থাকা আইজিপির নম্বরের সঙ্গে ওই নম্বরের মিল না থাকায় সন্দেহ হয় ডিআইজির। নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরে তিনি ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিলেও কেউ ধরেননি।
বিষয়টি তিনি আইজিপিকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ওই নম্বর ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পরে জেলা পুলিশের সাইবার টিমের সহায়তায় আমিনুলকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও ওই সময় জব্দ করা হয়।
আইজিপির নামে খোলা ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ আইডি। ছবি: নিউজবাংলা
আমিনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন আগে আইজিপির নাম ও ইউনিফর্ম পরা ছবি ব্যবহার করে ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ আইডিটি খোলেন আমিনুল। এ ছাড়া আমিনুল ইসলাম ও আমিনুল খান নামে দুটি ফেসবুক আইডি খুলে নামের শেষে ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ বাংলাদেশ পুলিশ পরিচয় ব্যবহার করেন।
ওই আইডিগুলো থেকে বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে আসছিলেন আমিনুল। সেই স্ক্রিনশট সাধারণ মানুষের কাছে দেখিয়ে বলতেন, তার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্পর্ক আছে। এর মাধ্যমে তিনি প্রতারণা করতেন।
এসপি বলেন, আইজিপির নাম ও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে তিনি অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে কোনো পুলিশ সদস্য অথবা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন কি না, জানতে আদালতে তার সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কে এম এ মামুন খান চিশতী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) গাজিউর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার সুরাইয়া খাতুন উপস্থিত ছিলেন।