অনুমোদিত তালিকার বাইরে ভিজিডি কার্ড প্রদানসহ নানা অনিয়মের দায়ে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হোসেন বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মন্ত্রণালয় থেকে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শিকারী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি জানান, চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের আদেশ বৃহস্পতিবার জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। আজ ওই আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প গ্রহণের আগে কোনো সভা আয়োজন না করা, উপকারভোগীদের নিয়ে সভা করার বিধান থাকলেও সেসব সভা না করা, প্রকল্পের কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে না করে আত্মীয়ের মাধ্যমে করা ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে অনুমোদিত তালিকার বাইরে ১২৫টি ভিজিডি কার্ড অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শিকারীর বিরুদ্ধে।
ইউএনও জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে তদন্ত করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠান। এতে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেন জেলা প্রশাসক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ারকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করার প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
দেলোয়ার হোসেন শিকারী ইদিলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সালের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান হন। এরপর সীমানা জটিলতার একটি মামলা দিয়ে নির্বাচন আটকে রাখেন। এ কারণে ২০০৩ সালের পর আর ওই ইউপিতে নির্বাচন হয়নি। তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইদিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। লোক মুখে শুনেছি বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কেন করা হয়েছে, সেটা আমি জানি না। সত্যিই যদি বরখাস্ত করা হয় তা হলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’