বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানিকগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৩৯

‘ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু যে হারে ভাঙন হচ্ছে, তাতে ৬ হাজার ব্যাগে কিছুই হবে না। আরও ব্যাগ ফেলা দরকার।’

পদ্মা ও যমুনায় পানি বাড়তে থাকায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ভাঙনের কবলে পড়েছে অনেক এলাকা। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা সূত্রে জানা যায়, পদ্মা ও যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে শিবালয়ের তেওতা ইউনিয়নের আরিচা, নেহালপুর, জাফরগঞ্জ, ঘিওরের সাইংজুড়ী, বড়টিয়া, পশ্চিম কুমুল্লি এলাকায় এবং হরিরামপুরের সুতালড়ী, লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীভাঙনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হরিরামপুরের পদ্মাপাড়ের মানুষ। ঘরবাড়ি ও জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব অনেকে।

হরিরামপুরের বয়রা দড়িকান্দি এলাকার ফরিদুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার কারণে এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা তো চিন্তায় আছি। কখন যে কোন জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়। এই নদীভাঙনে আমার কয়েক বিঘা ফসলি জমি নদীতে গেছে।’

হরিরামপুরের আবেদ আলী বলেন, ‘ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু যে হারে ভাঙন হচ্ছে, তাতে ৬ হাজার ব্যাগে কিছুই হবে না। আরও ব্যাগ ফেলা দরকার।’

ঘিওরের সাইংজুড়ী এলাকার কামাল হোসেন বলেন, ‘পদ্মা ও যমুনায় পানি বাড়ার কারণে ধলেশ্বরী নদীতেও পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঘিওরের সাইংজুড়ী, বড়টিয়া, পুরাতন ঘিওর হাট এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।’

শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টের গ্রেজ রিডার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা ও যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বোরবার সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে মানিকগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।’

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পদ্মার তীব্র স্রোতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এখনও বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে।

মানিকগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘হরিরামপুরে ভাঙন রোধে ৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর