ফেনী শহরে দুবাইপ্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায় তার স্ত্রী স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব। সংস্থাটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, মৌখিক তালাক দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীকে হত্যা করেছেন রোকেয়া আক্তার শিউলী।
সোহেল পারভেজ নামের ওই যুবককে হত্যার অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শিউলীকে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৭।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ আল জাবের ইমরান বলেন, শিউলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে তার স্বামী সোহেলের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল তাকে মৌখিকভাবে তালাক দেন।
র্যাব জানায়, তালাক দেয়ায় শিউলী ক্ষুব্ধ হয়ে বটি দিয়ে সোহেলকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এর পর দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে কুমিল্লায় তার চাচার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শহরের নাজির রোডে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজ ঘরে পাওয়া যায় সোহেলের রক্তাক্ত মরদেহ।
সোহেলের চাচাতো ভাই ফাহাদ সে সময় অভিযোগ করেন, হত্যায় সোহেলের স্ত্রীই জড়িত। এ ঘটনায় পরদিন ফেনী মডেল থানায় শিউলী আক্তারকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন সোহেলে মা নিরালা বেগম।