বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আশ্রয়ণের ঘর দখলের অভিযোগ

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ১৩:৫৮

লিখিত অভিযোগে তিন নারী বলেন, তারা আলাদী হাটের গুচ্ছগ্রামের তালিকাভুক্ত। সে অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে ঘরগুলো তাদের নামে রেজিস্ট্রিও হয়। তার পরও স্থানীয় ইউপি সদস্য তাদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন।

ঠাকুরগাঁও সদরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বরাদ্দ হয়ে যাওয়া তিনটি ঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিতভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ঘরের বরাদ্দ পাওয়া তিন নারী।

অভিযোগ অসত্য দাবি করে ওই ইউপি সদস্য জানান, ইউপি চেয়ারম্যান অনিয়ম করে ওই তিনজনকে ঘর পাইয়ে দিয়েছেন। এ কারণে তিনি এর প্রতিবাদ করতে গিয়েছেন।

সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আলাদী হাটের আনজু আক্তার, লায়লি বেগম ও জুলেখা বেগম শনিবার রাতে সদরের ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে লিখিত এই অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত করা হয় ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুবি আক্তারকে।

লিখিত অভিযোগ ওই তিন নারী বলেন, তারা আলাদী হাটের গুচ্ছগ্রামের তালিকাভুক্ত। সরকারি বিধি মোতাবেক ইউএনওর কার্যালয় থেকেই ঘর বরাদ্দের তালিকায় তাদের নাম আসে। সে অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে ঘরগুলো তাদের নামে রেজিস্ট্রিও হয়।

তারা অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য রুবি আক্তার কয়েক দিন ধরেই তাদের ওই ঘর থেকে বের হয়ে যেতে হুমকি দিচ্ছিলেন। নিজের লোকজনদের ওই ঘর দিতে চাইছিলেন তিনি। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগতও করা হয়। এরপর শনিবার ঘরে ঢুকে মারধর করে তাদের বের করে দেন রুবি, তার ছেলে মো. রনি ও তাদের লোকজন। তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের সেই ঘরে প্রবেশ করানো হয়।

এ সময় গ্রামপুলিশ বাধা দিতে গেলে রুবি আক্তারের সঙ্গে তাদেরও বাগবিতণ্ডা হয়।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রুবি আক্তার

অভিযোগ করা আনজু আখতার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রুবি আক্তার লোকজন নিয়ে এসে আমাকে ও আমার স্বামীকে মারপিট করেছেন। আমাদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তার লোকদের ঘুরে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। আমাদের সরকার থেকে ঘর দিয়েছে থাকার জন্য, কিন্তু আজ আমাদের ঘর কেড়ে নিল। আমার নামের বরাদ্দকৃত ঘর তিনি রাহিলা বেগম নামের একজনকে দিয়েছেন।’

অভিযোগ করা আরেক নারী জুলেখা বেগম বলেন, ‘বেশ কিছুদিন থেকেই রুবি আক্তার আমাদের ঘরটি নিয়ে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের মারতে আসে। আবার হুমকি দেয় যে আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। এভাবে যদি অত্যাচার করে তাহলে আমরা কী করব।

‘ওই ইউপি সদস্য তার ছেলেসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এসে আমাকে আমার ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা এটার সঠিক বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য রুবি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে কোনো মারপিট হয়নি। এখানে ঘর নিয়ে বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার তালিকা থেকে তিনজন মানুষকে ঘর দেয়া হয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্য ইউপি সদস্যরা টাকার বিনিময়ে অন্যদের ঘর দিয়েছে। তাই আজকে আমি আমার ওই তিনজন মানুষকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিয়ে এসে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি।’

চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর রয়েছে ২১৭টি। এর মধ্যে আলাদিহাট ধনিবস্তি গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ঘর রয়েছে ৫৬টি। আশ্রয়ণের ঘর বরাদ্দ পাওয়া অসহায় ব্যক্তিরা ওই ঘরগুলোতে বসবাস করছে।

‘রুবি আক্তার পাঁচজনের তালিকা দিয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সবাইকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে কোনো অর্থ লেনদেন হয়নি। তিনি অন্যের বরাদ্দ পাওয়া ঘরে তার লোকদের ঢুকিয়ে দিয়েছে শুনেছি। যার নামে বরাদ্দ রয়েছে তারাই সেই ঘরে থাকতে পারবে। অন্য কেউ থাকতে পারবে না। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনওকে অবগত করা হয়েছে।’

অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে ঠাকুরগাঁও সদরের ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর