প্রতিদিনই বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টে এখন পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জেলার ৩০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র মতে, জেলার পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার এবং গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ, কালুখালীর রতনদিয়া, হরিণবাড়িয়া, পাংশার বাহাদুর ও হাবাসপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। তা ছাড়া এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম জানিয়েছেন, ২৬ আগস্টের পর থেকে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সদরের গোদার বাজার এলাকায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ডাম্পিং কাজ পরিদর্শন করতে এসে শনিবার দুপুরে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। এ সময় তিনি আরও জানান, ২৩ ও ২৪ আগস্ট নদীর পানি স্থীর থাকবে।
রাজবাড়ী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, নদী বিধৌত চার উপজেলার মধ্যে পাংশা উপজেলার রিপোর্ট এসেছে। অন্য তিন উপজেলার রিপোর্ট এখনও আসেনি।
তিনি আরও জানান, পাংশা উপজেলায় ৩ হাজার ৬২৫টি পরিবার বন্যাকবলিত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ২৫৭টি পরিবার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জেলার বন্যাদুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের সাহায্য প্রদানের জন্য ১১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। বন্যাকবলিত যে কোনও দরিদ্র পরিবার আর্থিক সাহায্য চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে কল করলে তাদের এ আর্থিক সাহায্য দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।