পিরোজপুর সদরের মল্লিকবাড়ি গ্রামে পাড়েরহাট খালের ওপর ২০০৮ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল ১৪ মিটার একটি সেতু।
ওই খালে তীব্র স্রোত ও বিভিন্ন সময়ে হওয়া দুর্যোগে ২০১৭ সালে ভেঙে যায় সেতুর একাংশ। এরপর সেতুর ভাঙা অংশ থেকে পাড় পর্যন্ত সাঁকো বানিয়ে চলছে পারাপার।
ভেঙে যাওয়ার আগে সেতু দিয়ে চলাচল করত সদরের শংকরপাশা ও শারিকতলা ইউনিয়নের বাদুরা, মল্লিকবাড়ি, গাজীপুর ও বাইনখালীসহ ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। সেতুর জায়গায় হওয়া সাঁকো দিয়েও চলছে একইসংখ্যক মানুষ। এত মানুষের চাপে নড়বড়ে সাঁকোটিও।
বাদুরা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও আমিনা খানমসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ থেকে সেতুটি ভেঙে অচল হয়ে গেলে তা আবার নির্মাণে নেয়া হয়নি কোনো উদ্যােগ।
এতে সেতুর দুই পাশের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের কৃষিপণ্য বেচাকেনা, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাতায়াত ও শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ভুক্তভোগী গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ হলেও তা দিয়ে সেতুর কাজ হচ্ছে না।
বাইনখালী গ্রামের সোহেল খান ক্ষোভ প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে জানান, ভাঙা সেতু নির্মাণে এগিয়ে আসেনি কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তারা।
তিনি অতি দ্রুত খালে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মো. ইমরান জানান, সেতুটি দীর্ঘদিন অচল থাকায় খালের দুই পারের ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। দোকানগুলোতে বেচাকেনা নেই। তারা লোকসানে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শংকরপাশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনির গাজী বলেন, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর থেকে জনগণের যাতায়াতের সুবিধায় তিন-চারবার বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সেটিও ভেঙে যাচ্ছে বারবার। এ মুহূর্তে জরুরি প্রয়োজন একটি নতুন সেতু।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটি নির্মাণে কাজ করতে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির আহমেদ জানান, সদর উপজেলার বেশ কিছু ভাঙা সেতু নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে।