বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথির অভিযোগ

  •    
  • ২২ আগস্ট, ২০২১ ০১:২৪

‘খবর পেয়ে আমার অসুস্থ স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে ছুটে আসে। সে আসলে তার পেটে লাথি মারেন এক চিকিৎসক। অন্যরা তাকে কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদেরও মারধর করেন চিকিৎসকরা।’

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুইমাসের অন্তঃসত্বা নারীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে।

রোগীর স্বজন ও পুলিশদেরও মারধর করা হয় বলে জানিয়েছেন শজিমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রাকিবুল ইসলাম।

শনিবার রাত ৯টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার অন্তঃসত্ত্বা জয়নব বেগম বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নন্দগ্রামের আছলামের স্ত্রী।

আছলাম জানান, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জয়নব বেগম বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তিনি চিকিৎসকদের বিষয়টি জানান। আছলামের কথা হাসপাতালের কোনো চিকিৎসকই আমলে নিচ্ছিলেন না। এদিকে তার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তিনি আবারও চিকিৎসকদের কাছে ছুটে যান। এক পর্যায়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এর জের ধরেই চিকিৎসকরা আছলামকে বেধড়ক মারধর করেন।

আছলাম বলেন, ‘আমাকে চিকিৎসকরা কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। ওই সময় আমার ছোট ভাই জাকির ছিল। তাকেও মারধর করেন চিকিৎসকরা। এক পর্যায়ে আমাকে একটি ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। ওরা (চিকিৎসক-ইন্টার্ন চিকিৎসক) ৫০ জনের মতো ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে অসুস্থ স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে ছুটে আসে। সে আসলে তার পেটে লাথি মারেন এক চিকিৎসক। অন্যরা তাকে কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদেরও মারধর করেন চিকিৎসকরা।’

মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি আছলাম ও তার স্ত্রীকে মারধর করা হচ্ছে। আমি তাদের বাঁচাতে গেলে চিকিৎসকরা আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। ওই সময় আমার সঙ্গে থাকা এটিএসআই আশরাফুল, কনস্টেবল শরীফ ও অরুপকেও মারধর করেন চিকিৎসকরা।’

মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মারধর করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের হট্টগোল হয়েছিল। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তারাও হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, শুধু ধস্তাধস্তি হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া ইসলামীয়া হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার দেবর জাকির।

এ বিভাগের আরো খবর