চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ফাতেমা বেগম নামের ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিহতের স্বামী মো. শরীফকে।
শনিবার সকালে লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুখছড়িরকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, তিন বছর আগে চুনতি ইউনিয়ন সাতগড় গ্রামের মো. ইসমাঈলের কন্যা ফাতেমা বেগম ও উপজেলা সদর সুখছড়িরকুল এলাকার মোস্তাক আহম্মদের পুত্র মো. শরীফ হোসেনের বিয়ে হয়।
নিহতের প্রবাসী স্বামী শরীফ হোসেন ওমান থেকে ছুটিতে দেশে ফিরে লকডাউনের কারণে আটকে যান। শুক্রবার সকালে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের হাতে আটক স্বামী শরীফ জানান, ‘আমার সঙ্গে স্ত্রীর কোনও ঝগড়াঝাঁটি হয়নি। গতকাল রাতে আমাকে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে। আমি সকালে ডাক্তারের কাছে নেয়ার কথা বলে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে তাকে ডাকতে গিয়ে দেখি সে উঠছে না। তখন বাড়ির লোকজনকে খবর দিলে এসে ফাতেমা মারা গেছে বলে জানায়।’
তবে নিহত ফাতেমার মা আরেফা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্বামী মেরে ফেলেছে। আমি এর সঠিক বিচাই চাই।’
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, ‘গৃহবধূ মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। নিহতের গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী শরীফকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।’