বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের সুসম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে বলে মনে করছে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন, বরিশাল বিভাগ।
বরিশাল ক্লাবে শনিবার বিকেলে বিভাগের ৪২ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ৬৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিতি ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, ‘বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান কলাপাড়া উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের মুখে তিনি কলাপাড়া থেকে চলে আসতে বাধ্য হন। বর্তমানে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ও কলাপাড়ার মতো আচরণ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৮ আগস্ট বরিশাল সদরের ইউএনও কর্তৃক মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের সুসম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।’
আগৈলঝাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘শোকাবহ আগস্টের মর্যাদা রক্ষায় এই নিন্দনীয় ঘটনার কোনো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভে যাইনি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী এই নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারনের দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে হওয়া দুই মামলা প্রত্যাহারসহ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়। দাবি আদায় না হলে আগস্ট শেষ হলেই কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বরিশালের ঘটনায় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দায়ী করে। পুরো বরিশাল বিভাগ মেয়রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বলে অভিযোগ করে তার গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়।