বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মায় পানি বৃদ্ধি: আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২১ ১৭:০৬

পানিবন্দি রহম মৃধা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে পানি উঠেছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে চরম বিপদে আছি।’

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মায় হুহু করে পানি বাড়ছে।

এতে রাজবাড়ী জেলায় নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া পাবনার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজবাড়ী

জেলায় আগস্টের শুরু থেকেই পদ্মায় পানি বাড়তে শুরু করে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী উপপ্রকৌশলী মিঠুন সরদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সদরের মহেন্দ্রপুরে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে বাঁধের বাইরের কিছু স্থান ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪০টি পরিবার। পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন পদ্মাপাড়ের মানুষজন। জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার সকালে সদরের গোদার বাজারে বাঁধের বাইরের এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনেক বাড়ির ভেতর পানি উঠেছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বাসিন্দারা।

এ সময় পানিবন্দি রহম মৃধা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে পানি উঠেছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে চরম বিপদে আছি।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, বন্যার সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।

পাবনা

রাজবাড়ীর মতো পানি বেড়ে ভাদ্র মাসের শুরুতেই ফুলেফেঁপে উঠেছে পদ্মা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন জানান, পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে এক দিনে ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকালে পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ১৭ মিটার। এ পয়েন্টে পদ্মা বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ মিটার।

সবশেষ ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনই প্রায় ৭ থেকে ৮ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে নদীতে৷ ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আড়ামবাড়িয়া ও গোপালপুর নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধের ওপর দিয়ে পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে নদী পাড়ের গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়লে দুই-তিন দিনের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সাঁড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত রয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের মাজদিয়া, বড়পাড়া, মোল্লাপাড়া, আড়ামবাড়িয়াসহ নদী-নিকটবর্তী গ্রামে পানি ঢুকছে। রক্ষা বাঁধের তিনটি স্পট নিচু হওয়ায় ও ব্লক সরে যাওয়ায় সহজেই পানি প্রবেশ করেছে।

সাঁড়ার বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, ‘প্রতিদিনই পানির স্রোত ও উচ্চতা বাড়ছে। এরই মধ্যে সাহেব নগর চরের পুরো ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। বাঁধের ওপর দিয়ে পানি আসায় আমরা চিন্তিত।’

সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, ‘পদ্মায় এবার পানির তীব্রতা বেশি মনে হচ্ছে। গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে আহ্বান করেছি। এখনও বাড়িঘরের ক্ষতি হয়নি। শুধু চরাঞ্চলের জমি ডুবে গেছে।’

পাবনা পাউবোর সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন জানান, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো সময় আসেনি। অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর