জামালপুর শহরে বাবার বাড়ি থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শহরের পূর্ব নয়াপাড়ায় এলাকা থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মুসলিমা বেগম ময়না পূর্ব নয়াপাড়া এলাকার মুকছেদ আলীর মেয়ে। তার মরদেহ উদ্ধারের আগে থেকেই পলাতক স্বামী মো. রুবেল।
রুবেলের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কমলার মোড় এলাকায়। তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।
মুসলিমার দুলাভাই মো. সেলিম নিউজবাংলাকে জানান, প্রায় দেড় বছর আগে রুবেলের সঙ্গে তার শ্যালিকার বিয়ে হয়। ছয় মাস আগে রুবেল তার বাড়িতে ময়নাকে নির্যাতন করে পা ভেঙে দেন। পরে ময়না জামালপুর শহরে চলে এলে রুবেল শ্বশুরবাড়িতে থেকে যান।
সেলিম জানান, ময়না ও রুবেল উভয়ই আগে বিয়ে করেছিলেন। ময়নার আগের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মুসলিমার ভাগ্নে মোশাররফ নিউজবাংলাকে জানান, মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবার মাঝরাত পর্যন্তও তাদের ঝগড়া হয়। এরপর কেউ আর কোনো শব্দ পায়নি।
তিনি বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টার দিকে ঘর ভেঙে গিয়ে দেখি খালার মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। আর টিনের জানালা ভেঙে পালাইছে রুবেল। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই।’
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, ওই দম্পতি মাদকাসক্ত ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে হত্যার ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই পলাতক রুবেল। তাকে গ্রেপ্তারের সব চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
দেলোয়ার আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে মরদেহের গলার দুই পাশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।