ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরজুড়ে হেফাজতের ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মুফতি মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি মকবুল ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজতের তাণ্ডবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুফতি মকবুলকে শহরের কাউতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৬ মার্চ হেফাজতের তাণ্ডব চলাকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৫ বছর বয়সী মুফতি মকবুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। তিনি কাউতলী এলাকার বাসিন্দা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল্ ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজতের তাণ্ডবে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মুফতি মকবুল।
স্বীকারোক্তিতে মকবুল জানান, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের সূদুরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসাসহ আশেপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষককে নিয়ে তারা ব্যাপক তাণ্ডব চালান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। এ সময় ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় নিহত হয় ১২জন।
এসব ঘটনায় ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলায় ৪১৫জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।