বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রানির মৃত্যুর তথ্য অস্বীকার মালিকের

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২১ ২৩:০৮

শিকড় এগ্রো ইন্ডাট্রিজ লিমিটেডর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘জীবিত প্রাণীকে আমি কেনো বলবো এটা মারা গেছে। তারা (প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) বলছে, অসুস্থ রানিকে আপনারা অন্য কোথাও ট্রাই করেন। আমরা ট্রাই করছি।’

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ড গড়তে যাওয়া রানিকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এর মধ্যেই প্রাণীটির মৃত্যু নিশ্চিত নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক, রহস্য। অসুস্থ রানিকে চিকিৎসা দেয়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে খর্বাকৃতির গরুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে রানির মালিক বলছেন, রানি এখনও বেঁচে আছে। তবে কোথায়, কীভাবে আছে তা পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন বলেও জানান রানির মালিকপক্ষ।

বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সাভার উপজেলা উপ সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব নিউজবাংলাকে রানির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর একই বিষয় নিশ্চিত করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম।

তবে শুরু থেকেই তা মানতে নারাজ রানির মালিক শিকড় এগ্রো ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যায় আবারও খামারটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আবু সুফিয়ানের সঙ্গে রানির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। আগের মতোই সুফিয়ান রানির মৃত্যুর বিষয়টি উড়িয়ে দেন।

সুফিয়ান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জীবিত প্রাণীকে আমি কেনো বলবো মারা গেছে। তারা (প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা) বলছে, অসুস্থ রানিকে আপনারা অন্য কোথাও ট্রাই করেন। আমরা ট্রাই করছি।’

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাহলে কেনো বলছেন যে রানি মারা গেছেন এমন প্রশ্নে বলেন, ‘ওইটা উনি কেনো বলেছেন এটা ওনার স্টেটমেন্ট, আমার না। আমার সাথেতো তার দেখাও হয় নাই, কথাও হয় নাই। আমরা কাজ করতেছি। অফিসিয়ালি আমরা নিজেরা একটা স্টেটমেন্ট দিব। তবে সে (রানি) খারাপ আছে। আপনারা দোয়া করেন।’

সাভার উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বলেন, ‘গরুটা দুই দিন ধরে অসুস্থ ছিল। গরুটাতো এমনিতেই বামন। এটার শরীরে এন্টিবডি তেমন নাই। ওরা হয়তো পঁচা-বাসি খাবার খাওয়াইছে। আবার ফিডও খাওয়াইছে মনে হয়।

‘ওরাও বলছে, ফিড খাওয়াইছে। দানাদার খাবার বেশি খাওয়াইলে অনেক সময় পেট ফুলে যেতে পারে, গ্যাস হতে পারে। যার কারণে ফুড পয়জনিং হয়ে মারা গেছে। গরুটা মুমূর্ষু অবস্থায় আমাদের কাছে নিয়ে আসছে। আনার পরে আমরা যথার্থ চিকিৎসা যা দেয়ার দরকার দিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসায় কোনো উন্নতি হয় নাই। তারপরে গরুটা মারা গেছে। আমাদের বিভাগীয় সার্জন, আরও ডাক্তার ছিল। মালিকপক্ষেরও একজন ডাক্তার ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুই দিন ধরেই মালিকপক্ষের ডাক্তার গরুটার চিকিৎসা করছিল। যখন দেখছে ভালো হইতেছে না তখন আমাদের কাছে নিয়ে আসছে। গরুটা মারা যাবে এই রকম একটা অবস্থায় গরুটা ওনারা আনছে। পরে দুপুর ২টার দিকে গরুটা নিয়া ওনারা চলে গেছে। কোথায় নিয়া গেছে আমরা জানি না।’

এদিকে আলোচিত গরু রানির মৃত্যুর খবরে বিকেলে আশুলিয়ার কুঁরগাও চারিগ্রাম এলাকায় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে গেলে সেখানে রানিকে পাওয়া যায়নি।

মো. মাসুদ নামে খামারের এক কর্মচারী নিউজবাংলাকে জানান, ১০-১২ দিন আগে নিরাপত্তার জন্য রানিকে মালিকরা নিয়ে গেছেন। তবে কোথায় নিয়ে গেছেন সেটা তারা জানেন না।

এ বিভাগের আরো খবর