বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথে চলাচলকারীরা।
তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স, বাস, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রীরা দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে থাকার পর উপায় না দেখে বিকল্প পথে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার দীর্ঘ পথ ঘুরে বিকল্প রুট দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ ফেরি চালুর আশা নিয়ে ঘাটেই অপেক্ষা করছেন।
পদ্মা নদীর বাংলাবাজার ঘাটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা যায়। বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাট ঘুরে আরও দেখা যায়, পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘাটের পন্টুনের রাস্তা তলিয়ে গেছে। প্রতিটি ঘাটেই নোঙর করে রাখা হয়েছে জনশূন্য ফেরি। এ সুযোগে ফেরিতে ওঠার পথ ইট দিয়ে সংস্কারের দৃশ্য দেখা যায়।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে পদ্মা সেতু পার হতে ফেরিগুলো তীব্র স্রোতের মুখে পড়ে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুট ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যান্য যানবাহনকেও বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ফেরি বন্ধের বিষয়টি না জেনে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আজ সকালে ঘাটে এসে বিপাকে পড়েন।
খুলনা থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী মো. তানভীর জানান, রাত থেকে ফেরি বন্ধ জানলে তিনি একজন নারী আরোহীকে নিয়ে এভাবে ঘাটে আসতেন না। জরুরি প্রয়োজনে তাদের ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল।
বরিশাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসা অ্যাম্বুলেন্সের চালক সোহেল বলেন, ফেরি বন্ধ জানা ছিল না। রোগীর আত্মীয়রাও এ খবর জানতেন না। তাই বাধ্য হয়ে এখন পাটুরিয়া ঘাটে যেতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাটে নোঙর করা ফেরির এক চালক জানান, বাংলাবাজার থেকে ফেরি মূল পদ্মায় ঢুকতে ডুবোচরের কারণে ঘূর্ণিস্রোতের কবলে পড়তে হয়। এ ছাড়া স্রোতের গতিপ্রকৃতি মুহূর্তেই পরিবর্তনে সেতু পার হতে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। যেকোনো সময় পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা থাকে। স্রোত না কমলে ফেরি বন্ধ রাখাই উত্তম বলে মনে করেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, কবে থেকে ফেরি চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তিনি।