কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ফরিদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ছিট পাইকেরছড়া গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন পাইকেরছড়া গ্রামের সাইফুর রহমান, তার মা সাহেরা বেওয়া, ছোট ভাই সোহেল রানা ও রয়েল মিয়া।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় পাইকেরছড়া গ্রামের শাহী মোড় এলাকায় ব্যবসায়ী ফরিদুলকে পিটিয়ে জখম করা হয়। রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূরুঙ্গামারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম।
ব্যবসায়ী ফরিদুলের বাড়ি উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের সোনাহাট বাজার এলাকায়। তিনি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হকের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভূরুঙ্গামারী সদর থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন ফরিদুল।
পাইকেরছড়া গ্রামের শাহী মোড়ে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন ওই গ্রামের সাইফুর রহমান। এ সময় ফরিদুলকে বেধড়ক মারধর করেন সাইফুর। একপর্যায়ে ফরিদুলের দুই হাঁটু হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দেয়া হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদুলকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত ২টার দিকে ফরিদুল মারা যান।
এলাকার কয়েকজন জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সাইফুর ও তার কয়েকজন সহযোগী ফরিদুলের কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় একই বছরের ১৪ মার্চ সাইফুর তার দলবল নিয়ে ফরিদুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
তারা আরও জানান, বাড়ির লোকজনের চিৎকারে স্থানীয়রা সাইফুর ও তার সহযোগীদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করে। সে সময় মারধরে সাইফুরের একটি পা ভেঙে যায়। তারই জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, আটক ব্যক্তিরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।