মাদারীপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা করায় বাদীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে করা মামলার বাদী শাহ আলম শেখকে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ওই মামলায় হাজতে থাকা দেলোয়ার মুন্সি, মজিবর মন্সি ও পলাশ মুন্সিকে জামিন দেয়া হয়।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার উত্তর বাঁশকান্দি গ্রামের শাহ আলমের সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে একই এলাকার দেলোয়ার মুন্সীসহ অনেকের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষ আদালতে একাধিক মামলা করে।
এর মধ্যেই শাহ আলম তার শ্যালক ইসমাইলকে ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে পাঠানোসহ মানবপাচারের অভিযোগ এনে প্রতিপক্ষের ৬ জনকে আসামি করে ২৪ মে মাদারীপুর আদালতে মামলা করেন।
আদালত মামলার তদন্ত করতে সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়। ৯ আগস্ট মামলার ৩ আসামি দেলোয়ার, মজিবর ও পলাশকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ১০ আগস্ট রাতে এ ঘটনার মীমাংসা করতে স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। সালিশের রায় উভয়পক্ষ মেনে নেয়।
সালিশে মীমাংসা হলেও আদালত থেকে জামিন পাচ্ছিল না আসামিরা। বৃহস্পতিবার মীমাংসার নথিসহ আবার জামিন আবেদন করে আসামি পক্ষ। শুনানির সময় বাদী ও তার শ্যালক ইসমাইল আদালতে উপস্থিত হন।
জবানবন্দির সময় বাদী স্বীকার করেন প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছিল। এর ভিত্তিতে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা বাদীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানির বিষয়টি বাদী স্বীকার করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। এতে আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়বে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, ‘এখন শাহ আলমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ২১১ ধারা মোতাবেক মামলা করা হবে।’