গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে যাওয়া সাভারের খর্বাকৃতির গরু রানি মারা গেছে। প্রাণীটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। তবে রানীর মৃত্যু নিয়ে শিকড় এগ্রো লিমিটেড কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। খামারে গেলে বলা হয়, রানি অসুস্থ তাই অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাভার উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নিউজবাংলাকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গরুটা দুই দিন ধরে অসুস্থ ছিল। এটার শরীরে এন্টিবডি তেমন নাই। ওরা হয়তো পঁচা-বাসি খাবার খাওয়াইছে। আবার ফিডও খাওয়াইছে মনে হয়। ওরাও বলছে, ফিড খাওয়াইছে। দানাদার খাবার বেশি খাওয়াইলে অনেক সময় পেট ফুলে যেতে পারে, গ্যাস হতে পারে। যার কারণে ফুড পয়জনিং হয়ে মারা গেছে।
‘গরুটা মুমূর্ষু অবস্থায় আমাদের কাছে নিয়ে আসছে। আনার পরে আমরা যথার্থ চিকিৎসা যা দেয়ার দিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসায় কোনো উন্নতি হয় নাই। তারপরে গরুটা মারা গেছে। আমাদের বিভাগীয় সার্জন, আরও ডাক্তার ছিল। মালিকপক্ষেরও একজন ডাক্তার ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দিন ধরেই মালিকপক্ষের ডাক্তার গরুটার চিকিৎসা করছিল। যখন দেখছে ভালো হইতেছে না তখন আমাদের কাছে নিয়ে আসছে। গরুটা মারা যাবে এই রকম একটা অবস্থায় গরুটা ওনারা আনছে। পরে দুপুর ২টার দিকে গরুটা নিয়া ওনারা চলে গেছে। কোথায় নিয়া গেছে আমরা জানি না।’
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক তানভির হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কুমিল্লায় আছি। কুমিল্লায়তো আমাদের আবার প্রজেক্ট আছে। কনফার্ম নিউজ আমার কাছে নাই। আমি কুমিল্লা থেকে ব্যাক করছি। সাভারের দিকে যাচ্ছি। আমি পরে জানাব।’
তবে বিকেল ৩টার দিকে শিকড় এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. আবু সুফিয়ান এর সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘আমিতো জানি না বিষয়টা। খামারে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা আছে আগে থেকেই। পাড়ার ছেলেপেলে উঁকিঝুঁকি মারে। কেউ বলে যুবলীগ করে, কেউ বলে ছাত্রলীগ করে। দুই দিন আগে সিলেট থেকে রানীর মতো ছোট একটা গরু আনা হইছে। উঁকি মারলে তারা রানীর জায়গায় এই গরুটাকে দেখতে পাচ্ছেন।
এই হিসেবে অনেকে অনেক কথা বলতেছে। এখন লোকজন যদি এই কথা, ওই কথা বলে আপনি কী করতে পারবেন? রানী সুস্থ আছে কি না সে বিষয়ে বলেন, অসুস্থতা কিছু না। ছোট গরুতো মাঝে মধ্যে পেটটা একটু ফেপে যায়। আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি।’
রানির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতে আশুলিয়ার কুঁরগাও চারিগ্রাম এলাকায় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে গেলে সেখানে রানিকে পাওয়া যায়নি।
মো. মাসুদ নামে খামারের এক কর্মচারী নিউজবাংলাকে জানান, ১০-১২ দিন আগে নিরাপত্তার জন্য রানিকে মালিকরা নিয়ে গেছেন। তবে কোথায় নিয়ে গেছেন সেটা তারা জানেন না।