মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে এবার ধরা পড়ল মহাশোল মাছ। মাওয়া মৎস্য আড়তে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে জেলেদের থেকে ১২ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন একতা মৎস্য আড়তের শাওন দাস (মরু)।
মহাশোল দেখতে অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। তবে এর আঁশগুলো আরও বড়।
বিলুপ্তপ্রায় এই মাছ সর্বাধিক ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এদের জীবনধারণের পক্ষে সহায়ক।
দেশে এই মাছের সোনালি মহাশোল ও লালপাখনা মহাশোল নামে দুটি প্রজাতি আছে। ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের বন্য প্রাণীর তালিকা অনুযায়ী প্রজাতি দুটি সংরক্ষিত।
মুন্সীগঞ্জের একতা মৎস্য আড়তের শাওন দাস বলেন, ‘মাছটির ওজন প্রায় ২০ কেজি হবে। আমি প্রতি কেজি মাছ বিক্রি করব এক হাজার টাকা দরে। সকাল থেকে কোনো ক্রেতা পাইনি।’
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কংস নদ ও সোমেশ্বরী নদী মহাশোলের আবাস। এই নদ-নদীর উৎসমুখ এখন প্রায় বন্ধ। শুকনো মৌসুমে নদী দুটি প্রায় শুকিয়ে যায়। বসবাস ও বংশবৃদ্ধির স্থান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মহাশোল সংখ্যায় ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
সোমেশ্বরী ও কংস ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে দু-একবার সাঙ্গু নদেও মহাশোল পাওয়া গেছে। এবার মাছটি পাওয়া গেল পদ্মা নদীতে।