গাজীপুরে ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে হামলার শিকার বাবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকায় বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পাঁচউলিপুর গ্রামের মৃত গোলাম উদ্দিনের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর তুলসীভিটা এলাকার ফিরোজ মিয়ার বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি।
স্বজনদের অভিযোগ, কথা-কাটাকাটির জের ধরে বিচারকদের হামলায় আসাদুল ইসলাম মারা যান।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৩ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে আসাদুলের ছেলে নয়নকে তুরাগ নদীতে মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নেন প্রতিবেশী সেজু, আনন্দ, বাবলু, শাহীনসহ কয়েকজন যুবক। সেখানে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন নয়ন। নিখোঁজের দুই দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে আসাদুলের দাবি, তার ছেলেকে নৌকা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই এলাকার কয়েকজন মাতব্বর বিচারের আশ্বাস দেন আসাদুলকে। এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এদিন আসাদুলের প্রতিপক্ষের লোকজন উপস্থিত না থাকায় বৈঠক হয়নি।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করা হয়। বৈঠকে বসার জন্য আসাদুলকে স্থানীয় মাতব্বর আলমগীর তার বাড়ির উঠানে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে মাতব্বর মোজ্জামেল, রুবেল, হান্নু ও ইলিয়াসের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আসাদুলের। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা তাকে লাথি ও কিল-ঘুষি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার এসআই সৈয়দ বায়োজিদ জানান, পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের চোখের পাশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রাম্য বিচারক ও প্রতিপক্ষের কিল-ঘুষিতে শ্রমিক আসাদুল মারা গেছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। মামলাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।