বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শয্যা ও অক্সিজেন সংকটে রোগীদের ভোগান্তি

  •    
  • ১৮ আগস্ট, ২০২১ ২০:৪০

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি নিয়ে প্রতিদিনই অনেক রোগী ভর্তি হচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে। এদের মধ্যে পজেটিভ রোগীদের স্থানান্তর করা হয় করোনা ওয়ার্ডে। স্থান সংকুলন না হওয়ায় ফ্লোরেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এমন পরিস্থিতি জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও।

লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে সদর হাসপাতালে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন করোনা রোগীরা।

করোনা ইউনিটে তিনটি আইসিইউ বেড থাকলেও পরিচালনার জন্য নেই দক্ষ জনবল। ফলে পাওয়া যাচ্ছে না সবসময় আইসিইউ সুবিধা। সে সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন সংকট।

আইসিইউ ও শয্যা সংকটের কথা স্বীকার করে চিকিৎসকরা বলছেন, সময় মতো চিকিৎসা দিতে না পারায় জেলায় বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।

অবশ্য শয্যা সংকটের কথা স্বীকার করে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন আবদুল গফ্ফার ও সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি নিয়ে প্রতিদিনই অনেক রোগী ভর্তি হচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে। এদের মধ্যে পজেটিভ রোগীদের স্থানান্তর করা হয় করোনা ওয়ার্ডে। স্থান সংকুলন না হওয়ায় ফ্লোরেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এমন পরিস্থিতি জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও।

জেলায় চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে গড় করোনা শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২ শতাংশ। ছবি: নিউজবাংলা

হাতপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন স্থানীয় ফিরোজ আলম, মামুনুর রশিদ, হুমায়ুন কবির, ইউসুফ হোসেনের স্বজনরা।

তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট রয়েছে। আইসিইউ বেড থাকলেও দক্ষ লোকবল নেই। তাই চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল।

লক্ষ্মীপুর জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি রাজু হাওলাদার জানান, তার মায়ের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বুধবার সকালে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শয্যা না থাকায় ফ্লোরে রেখেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

একই অভিযোগে করেছেন জেলা বেসরকারী প্যাথলজি মালিক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বাসার।

লক্ষ্মীপুরে গত জুলাই মাসে পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৬। ৬ হাজার ৬১৯ জনের মধ্যে আক্রান্ত হয় ২ হাজার ১৮৮ জন।

আগস্টের শুরুতে শনাক্তের হার দাড়াঁয় ৪০। গত কয়েক দিনে সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও তা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

চলতি মাসের ১৭ দিনে ৬ হাজার ৩৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৮৬ জনের। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২ শতাংশ।

জেলার পাঁচ উপজেলা মধ্যে সদরেই আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি।

১৭ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৫৫৫ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮৭ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে শতাধিক।

আইসিইউও শয্যা সংকটের কথা স্বীকার করে করোনা ইউনিটে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মাজহারুল ইসলাম মাসুম বলেন, ‘সময় মতো চিকিৎসা দিতে না পারায় জেলায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি দক্ষ জনবল না থাকায় আইসিইউ বেড পরিচালনা করা যাচ্ছে না।’

জেলার সিভিল সার্জন আবদুল গফ্ফার বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার কারণে কঠোর বিধিনিষেধের সুফল পাওয়া যায়নি। আরও ১০টি আইসিইউ বেড বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরীর নয়ন বলেন, ‘সার্বিক সুবিধা বাড়িয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।’

এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন ও অক্সিমিটার দেয়ার কথাও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর