বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ই-কমার্স ব্যবসা বাঁচাতে ব্যারিস্টার সুমনের আহ্বান

  •    
  • ১৮ আগস্ট, ২০২১ ২০:৩৩

‘আমি প্রথম থেকেই ই-কমার্সের বিষয়ে বলে আসছি। ইভ্যালির বিরুদ্ধে বলেছি, ধামাকার বিরুদ্ধে বলেছি। আমরা চাই বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা অনেক বড় হোক। কিন্তু প্রতিদিনই যদি এ রকম মানুষের ফকির হওয়ার গল্প শুনতে হয় এবং প্রতিদিনই মানুষ যদি এ রকম নিঃস্ব হয়, তাহলে ই-কমার্সের ব্যাপারে মানুষের বিশ্বাস থাকবে না। অন্তত এই ব্যবসাটাকে নষ্ট করে দিয়েন না।’

ই-কমার্স ব্যবসার নামে যারা প্রতারণা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে সরকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

নিজের ফেসবুক পেজে বুধবার বিকেলে আপলোড করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ঢাকার হাইকোর্ট চত্বর থেকে তিনি ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘প্রতিদিনই প্রায় সময়ই নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কথা বলতে আপনাদের সামনে আসি। আজকে আমার পেছনে যাদের দেখতে পাচ্ছেন তাদের একেবারে নিঃস্ব হওয়ার গল্প শোনাতে এসেছি।’

‘আপনারা জানেন যে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জ নামে একটি সংগঠন বা সংস্থা একেবারে কম মূল্যে পণ্য দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পর আর কোনো খবরই নাই। উল্টো তারা নাকি কোথায় চলে গেছে, দুজনকে পুলিশ ধরছে।

‘দুজনকে ধরুক বা তাদের যাবজ্জীবন সাজা হয়ে যাক, কোনো বিষয় না। তাদের (ক্ষতিগ্রস্তরা) উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকাটা ফেরত পাওয়া।’

সুমন বলেন, ‘এইখানে অসংখ্য মানুষ, তারা এসেছেন হাইকোর্টে মামলা করার জন্য। এখন মামলা করতে যে সময় লাগে তার ভেতরে যদি টাকাটা চলে যায় তাহলে সব শেষ। আপনারা জানেন বাংলাদেশের বাস্তবতায় মামলা করে টাকা পাওয়া খুব কঠিন কাজ।

‘আমি সরকারকে, বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানাব, এরা (গ্রাহকরা) না হয় একটা ভুল করে ফাঁদে পা দিছে। এখন এগুলো (গ্রাহকদের টাকা) উদ্ধারের দায়িত্ব আপনাদের। কারণ আপনারা তাদের প্রটোকল দেবেন, আপনারা সবার নেতা। জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই ই-কমার্সের বিষয়ে বলে আসছি। ইভ্যালির বিরুদ্ধে বলেছি, ধামাকার বিরুদ্ধে বলেছি। আমরা চাই বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা অনেক বড় হোক। কিন্তু প্রতিদিনই যদি এ রকম মানুষের ফকির হওয়ার গল্প শুনতে হয় এবং প্রতিদিনই মানুষ যদি এ রকম নিঃস্ব হয়, তাহলে ই-কমার্সের ব্যাপারে মানুষের বিশ্বাস থাকবে না। অন্তত এই ব্যবসাটাকে নষ্ট করে দিয়েন না।

‘বিশেষ করে আমি বাংলাদেশ ব্যাংককে বলব, ই-অরেঞ্জের অ্যাকাউন্টে আপনারা নজর রাখেন, যাতে এ টাকা ট্রান্সফার করতে না পারে। তাহলে পরবর্তীতে আপনারা তাদের প্রোডাকশনটা দিতে পারবেন। কারণ আপনাদের হাতে সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করতে পারবেন।

‘এখানে যাদের দেখছেন তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। একে তো করোনায় তাদের বারোটা বেজে গেছে। পাঁচ টাকা দেয়া তাদের ক্ষমতা নাই। কিন্তু এর মধ্যে টাকা যদি তাদের নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আর বাঁচার পথ থাকবে না। তারা অনেকেই বলতে চাচ্ছেন যদি এ টাকাগুলো না পান আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে বাধ্য হবেন। অনেকে ঋণ করে টাকা দিয়েছেন।

‘তাই সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আমি করজোড়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করব, তাদের টাকাটা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তারা সবাই বিশ্বাস করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিশ্চয়ই কোনো না কোনো ব্যবস্থা করবে। এই মানুষগুলোর যে দীর্ঘ নিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভালো করে দেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এ বিভাগের আরো খবর