সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় দুই মহল্লাবাসীর সংঘর্ষের সময় ফলার আঘাতে সাজ্জাদ হোসেন নামের এক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
পৌর শহরের ভাঙ্গাবাড়ি ও দিয়ার ধানগড়া মহল্লাবাসীর মধ্যে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
এতে আহত সাজ্জাদ হোসেনকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে দুপুর ২টার দিকে মারা যান তিনি। তিনি ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার আবু সাঈদের ছেলে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তরিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার পৌর শহরের বড় বাজার মার্কেট থেকে ডিনারসেট কেনার সময় দুই দিয়ারধানগড়া ও ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাত থেকে দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়।
বুধবার দুপুরে তাদের মধ্যে আবার সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু'পক্ষের মধ্যে কয়েকদফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কোনো এক সময় ফলার আঘাতে আহত হন সাজ্জাদ। দু'দিনের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে সাজ্জাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দিয়ার ধানগড়া মহল্লার বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই দুই মহল্লায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য সাজ্জাদের মরদেহ সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।