উজানের ঢলে পানি বেড়েছে পদ্মায়। সেই সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। এতে নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। নদী পারাপারে দীর্ঘসময় লাগায় দৌলতদিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। যানবাহনে দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এ পথে যাত্রীরা।
সরেজমিনে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘাট এলাকার প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশ জুড়ে কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানসহ ব্যক্তিগত গাড়ির জট দেখা গেছে। ঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়েও দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে তৈরি হয়েছে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট।
ঝিনাইদহ থেকে ঘাটে আসা কাভার্ড ভ্যানচালক হানিফ জানান, পরশুদিন তিনি দৌলতদিয়ায় এসেছেন। তবে এখনও ফেরিতে উঠতে পারেননি।চুয়াডাঙ্গার চালক কলিম উদ্দিন বলেন, ‘রোববার রাতে ঘাট এলাকায় আসলেও ফেরিতে উঠতি পারি নাই। জ্যামে আটকে আছি। আর এখানে হোটেল-বাথরুম না থাকায় আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।’
যশোর থেকে কাঁচাপণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক সামসুল হক বলেন বলেন, ‘রাত ১টার দিকে ঘাটে আসলেও এখনো ফেরি পাইনি। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পার হতে নাকি সময় লাগছে।’
দৌলতডিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো দাবিও জানান তিনি।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) জানান, পদ্মার পানি বাড়ায় নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। স্রোতের বিপরীতে ফেরি আসতে সময় লাগছে।
তিনি বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির ফলে আমাদের অনেকগুলো ঘাট সরাতে হয়েছে। এখন আমাদের ১৬টি ফেরি চলছে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও কাঁচাপণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ে এ জট কেটে যাবে।’
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে পদ্মায় পানি বাড়ছে। দৌলতদিয়া-লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পানি ঢুকছে দৌলতিদয়া লঞ্চঘাট গ্রাম ও সদরের চর সিলিমপুর গ্রামে।