বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারী অফিস সহকারী ‘পেটালেন’ অধ্যক্ষকে

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৪৯

কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মিরা খানম ও নুরুন্নাহার বলেন, ‘প্রিন্সিপাল স্যার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রার খাতায় এন্ট্রি করতে বলেন অফিস সহকারীকে। তিনি অপরাগতা প্রকাশ করে হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই জুতা খুলে স্যারকে পেটানো শুরু করেন। আমরা স্যারকে উদ্ধার করি।’

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাফা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে।

সোমবার সকালের এই ঘটনা মঙ্গলবার দুপুরে জানাজানি হয়।

সাফা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘সকালে অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বল শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের কাজে কলেজে যান। এ সময় তিনি অফিস সহকারী ফরিদাকে শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রার খাতায় লিখে রাখতে বলেন অধ্যক্ষ। ফরিদা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি।

‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে অফিস সহকারীর টেবিলে যান অধ্যক্ষ। এ সময় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী ও স্টাফদের সামনে ফরিদা জুতা খুলে অধ্যক্ষকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে। আহত বিনয় কৃষ্ণকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’

কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মিরা খানম ও নুরুন্নাহার বলেন, ‘প্রিন্সিপাল স্যার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রার খাতায় এন্ট্রি করতে বলেন অফিস সহকারীকে। তিনি অপরাগতা প্রকাশ করে হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই জুতা খুলে স্যারকে পেটানো শুরু করেন। আমরা স্যারকে উদ্ধার করি।’

স্থানীয় এক সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে ফরিদা কোনো কথা না বলে কলেজ ছেড়ে যান। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

প্রভাষক শাকিল আহমেদ জানান, অফিস সহকারী ফরিদা কলেজের কোনো নিয়ম কানুন মানেন না। মন চাইলে অফিস করেন, না চাইলে আসেন না। জাতীয় শোক দিবসেও কলেজে আসেননি তিনি। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ফরিদা প্রায়ই বলেন, অধ্যক্ষের কথা শুনতে বাধ্য নন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে সাফা ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) বশির আহমেদ বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য আমরা মর্মাহত। অধ্যক্ষ আইনের আশ্রয় নিলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইদ্রিস আলী জানান, এ ধরনের ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর