মাগুরা পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ১৬ পুলিশসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
যশোরের দুদক কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল সোমবার এই মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে আছেন পুলিশের চার এসআইসহ ১৬ সদস্য, মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
যশোর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে কথিত জিপিএফ, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, ডিপোজিট এগেইনস্ট সাপ্লাইজ অ্যান্ড ওয়ার্ক নামে বিল মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ না করে ৯ জনের নামে ৮১টি অ্যাকাউন্ট পে-চেক ইস্যু করার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
পরস্পর যোগসাজশে একই পদ্ধতিতে অস্তিত্ববিহীন ৬টি বিলের মাধ্যমে জেলা পুলিশ মাগুরার ৬ জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আতিয়ার রহমান, শাহ আলম গাজী, খান মো. আব্দুল হাই, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মো. আকবর আলী এবং আবুল কাশেম তাদের জিপিএফের প্রাপ্য অর্থের অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এভাবে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
যশোর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত মুঠোফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে মাগুরা হিসাবরক্ষণ ও ফিন্যান্স কর্মকর্তার কার্যালয় এবং মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে দুটি জিডি করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
‘এরইমধ্যে মামলার এজাহার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর আসামীদের গ্রেপ্তারসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’