বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ করে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত নয়জন আত্মসমর্পণ করেছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার (এসিএফ) কার্যালয়ে সোমবার সকালে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় ওই শিকারিরা স্টাম্পে সই করেন এবং ধর্মীয় গ্রন্থ হাত রেখে সুন্দরবনে আর কখনও শিকার করবেন না বলে শপথ করেন।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন সাজ্জাক ব্যাপারি, এমদাদুল সরদার, মহিদুল শেখ, রেজাউল শেখ, জাহাঙ্গীর মোল্লা, বাচ্চু মৌছাল্লি, আতাউর খাঁন, রুবেল কেষ ও ফরিদ জোমাদ্দার।
তাদের বাড়ি মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ও চিলা ইউনিয়নে।
এসিএফ এনামুল হক বলেন, ছয় বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদসহ নয় হরিণ শিকারি আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় তারা স্ট্যাম্পে সই করে মুচলেকা দেন এবং সুন্দরবনে আর কখনও চোরা শিকার করবেন না বলে শপথ করেন।
তিনি আরও জানান, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় বনবিভাগ। তাদের জমা দেয়া হরিণ শিকারের ফাঁদ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বনবিভাগের অন্য কর্মকর্তারা।