বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মেঘ নামলে আমাগো কপাল পুড়ে’

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২১ ১৯:১৩

পেয়ারা বিক্রেতা হাসেম আলী বলেন, ‘সত্য কথা কইতে কি, আমরা যারা ঘাটে ফল, শরবত, ডাব বিক্রি করি, আমরা চাই ঘাটে যানজট থাউক।’

পদ্মায় তীব্র স্রোত, ধীরগতিতে চলছে ফেরি। পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে যানবাহনের সারি। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রীদের।

ঘাটে আটকে থেকে গরমে যাত্রীদের যখন নাভিশ্বাস, তখন ব্যস্ততা বাড়ে ভ্রাম্যমাণ ফল ও শরবত বিক্রেতাদের। ক্রেতার চাহিদা মেটাতে তাদের অনেকেই পণ্য নিয়ে ছোটেন এক গাড়ি থেকে আরেক গাড়িতে। আবার অনেক যাত্রীও গাড়ি থেকে নেমে ভিড় জমান এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই নৌপথ দিয়ে যাতায়াত করে। যানবাহনের চাপ বেশি থাকলে অনেক সময় এক থেকে দুই দিনও যাত্রীদের ঘাটে অপেক্ষা করতে হয়।

সোমবার দুপুরে পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। যানবাহনের আশপাশে ডাব, আনারস, পেয়ারা ও আখের রস বিক্রেতারা ঘুরছেন। আকাশ মেঘলা থাকায় তেমন বিক্রি হচ্ছে না।

ডাব বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে ৪০টা ডাব নিয়া পাটুরিয়া আইছি। দুপুর ৩টা বাজে এখনও বেইচা শেষ করতে পারলাম না। মাত্র ১৫টা ডাব বেইচি। মনে হইতেছে ডাব আজকে বাড়ি ঘুরায়ে নিয়া যাইতে হইবো। বৃষ্টি না হইলে সবগুলা বেচা হইতো।’

ভ্যানে করে আম বিক্রি করেন সবুজ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঘাটে যানজট লাগলে আমাগো কেনাবেচা ভালো হয়। কারণ অনেক সময় ধরে যাত্রীদের ঘাটে থাকতে হয়। অনেকে গাড়িতে বইসা খায়, কেউ কেউ বাড়িও নিয়্যা যায়।

‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘাটে গাড়ির চাপ আছিল। ওই সময় দেড় হাজার টাকার আম বিক্রি করছি।’

শরবত বিক্রেতা নবীন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেইক্যা আকাশটা মেঘ মেঘ থাকায় শরবত বেচা হয় নাই। দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৪০ টাকার শরবত বেইচি। রোইদ উঠলে এতক্ষণ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার বেচা হইতো। মেঘ নামলে আমাগো কপাল পুড়ে। যত রোইদ উঠবে আর যত গরম পড়বে ততই বেচাকেনা বাড়বে।’

ফরিদপুরের যাত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গাড়িতে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না। তাই ডাব আর পেয়ারা কিনে খাইলাম। দেখলাম গরমের কারণে অনেকে আমড়াও খাচ্ছে।’

আমড়া বিক্রেতা আলী হোসাইন জানান, মানুষ বেশি থাকলে একজনের দেখাদেখি অন্যজনও খায়। মানুষ কম থাকলে গাড়িতে গাড়িতে গিয়ে বিক্রি করতে হয়। অনেক সময় তারপরও বিক্রি হয় না।

পেয়ারা বিক্রেতা হাসেম আলী বলেন, ‘সত্য কথা কইতে কি, আমরা যারা ঘাটে ফল, শরবত, ডাব বিক্রি করি আমরা চাই ঘাটে যানজট থাউক।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, এখন পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর