পিরোজপুরের নেছারাবাদে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ ওঠায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে স্থানীয় একটি এনজিওর মালিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
বিয়ের ঘটনাটি শুক্রবার গভীর রাতে হলেও শনিবার এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয় এক ব্যক্তি নিউজবাংলার প্রতিবেদককে ঘটনাটি জানান রোববার রাতে।
বিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিউজবাংলার কাছে স্বীকার করেছেন স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আল আমীন পারভেজ। ঘটনার তিন দিন পরও কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নেছারাবাদ থানা পুলিশ।
ইউপি চেয়ারম্যান আল আমীন নিউজবাংলাকে বলেন, মেয়েটির বাবা আইসক্রিম বিক্রেতা। করোনায় বিক্রি কমে যাওয়ায় উপার্জনও কমে যায়। বিপাকে পড়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি নেয় ১৫ বছরের মেয়েটি।
মেয়েটির পরিবার শুক্রবার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, অসহায়ত্বের সুযোগে এনজিওর মালিক তাদের মেয়েকে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেছেন। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের জানালে মেয়ে সব স্বীকার করেছে।
চেয়ারম্যান বলেন, ওই এনজিওর মালিককে ডেকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও বিষয়টি স্বীকার করেন। ওই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি বিবাহিত। তার সন্তানও আছে।
স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আল আমীন পারভেজ
চেয়ারম্যানের দাবি, দরিদ্র পরিবারটির সম্মান রক্ষায় প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই এনজিওমালিকের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দুই পক্ষই তাতে রাজি হয়। এরপর শুক্রবার গভীর রাতে তাদের বিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সোমবার সকালে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, এই প্রতিবেদকের কাছ থেকেই তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। খোঁজখবর নিতে ওই এলাকায় তিনি পুলিশ পাঠাবেন।
ইউএনও মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেনও নিউজবাংলাকে জানান, তিনি ঘটনাটি জানতেন না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনিও।