ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় শাহাবুদ্দিন মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর একটি ফেসবুক আইডি থেকে আরেকজনের ছবি দিয়ে বলা হয়, ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন নামের এই ব্যক্তি ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
যার ছবি দেয়া হয়, তিনি জামাল মিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের গেটের পাশে ১৫ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন ফলের ভর্তা ও আচার বিক্রি করেন। এ কারণে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি বেশ পরিচিত।
ওই রাতে জামাল মিয়া ফেসবুক লাইভে এসে জানান, তিনি জীবিত আছেন।
ঘটনাটি রোববার সন্ধ্যার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন খান নোমান জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ব্যক্তির নাম শাহাবুদ্দিন মিয়া। বাজার থেকে বাড়ি ফিরতে রোববার সন্ধ্যায় রিকশা নেন তিনি। রিকশাচালক সিগন্যাল না মেনে রেলগেট পার হতে গেলে ট্রেনটি ধাক্কা দেয়।
ঘটনাস্থলেই শাহাবুদ্দিন নিহত হন। রিকশাচালক শাহজাহানকে আহত অবস্থায় নেয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে।
ভুল স্বীকার করে দেয়া পোস্টের সংযুক্ত নিহতের ছবি (বামে) ও জীবিত জামাল মিয়াএ ঘটনার পরপর ফেসবুকে জামাল মিয়ার ছবি দিয়ে মাশুক হৃদয় নামের একটি আইডি থেকে পোস্ট করে জানানো হয়, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন। পরিচিত মুখ হওয়ায় অনেকেই সেই পোস্ট শেয়ার করেন।
পোস্টটি ভাইরাল হলে তোফায়েল ইসলাম জাহাঙ্গীর নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি ফেসবুক লাইভে জামাল মিয়াকে হাজির করে বলেন, নিহত বলে যার ছবি ছড়ানো হয়েছে, তিনি বেঁচে আছেন। বিভ্রান্তিমূলক পোস্টের কারণে অনেকেই জামালকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছেন।
এই লাইভের পর বিভ্রান্তিকর পোস্ট সরিয়ে নিয়ে ভুল স্বীকার করে আরেকটি পোস্ট দেন মাশুক।
এ বিষয়ে এসআই সালাহউদ্দিন খান নোমান বলেন, ফেসবুকের সবকিছু সত্য নয়। অনেক কিছুরই বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই। বাস্তব ঘটনার চেয়ে সেখানে গুজবই বেশি ছড়ায়। এ কারণে অনেকে বিপদে পড়েন, বিপাকেও পড়েন। কোনো পোস্ট দেয়ার আগে তথ্য যাচাই করে নেয়া উচিত।