চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রের কোপে এক যুবক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় তার বাবা আহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আপন হোসেন (২০)। তিনি আহত মোতালেব হোসেনের ছেলে। ইজিবাইকচালক ছিলেন আপন।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত মোতালেব হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের মোতালেব হোসেনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। রোববার সন্ধ্যায় মোতালেব ছেলে আপনের ইজিবাইকে চড়ে বাড়ির দিকে আসছিলেন। পথে কালামের বাড়ির পাশে পানির নালা কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কালাম ও তার পরিবারের সদস্যরা আপনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে মোতালেবকেও কুপিয়ে জখম করে তারা।
নিহত আপনের মা কমেলা বেগম জানান, ‘ঝগড়া বাধার পর আমার ছেলেকে আবুল কালাম, তার স্ত্রী জাহিরন খাতুন, ছেলে রাজিবুল হক, মেয়ে নাজমা খাতুন ও শিমলা খাতুন হাঁসুয়া ও বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তারা আমার স্বামীকেও কুপিয়ে জখম করে। আমাদের চিৎকার শুনে অন্য প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা আমার ছেলে ও স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আপনকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান জানান, আপনের হাত ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। মোতালেবের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবুল কালামকে আটক করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো একটি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।