শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে যুক্ত হয়েছে নতুন ফেরি কাকলি। বিকল ফেরি কস্তুরি মেরামত শেষে যুক্ত হয়েছে বহরে। এতে সড়কপথে যানজট কমতে শুরু করেছে।
রোববার সকাল ১০টায় কাকলি নামের ফেরিটি মাওয়া থেকে নরসিংহপুর ঘাটে পৌঁছায়।
বিআইডব্লিউটিসির নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে একটি ফেরি দেয়া হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় কাকলি যাত্রা শুরু করেছে। এটি দ্রুতগতিসম্পন্ন ফেরি। এতে ৭টি ট্রাক ও ৬টি অন্য যান পারাপার সম্ভব। এরই মধ্যে তিনটি ট্রিপ দিয়েছে ফেরিটি।
বৃহস্পতিবার রাতে বিকল হয়ে যাওয়া ফেরি কস্তুরি মেরামত শেষে সকাল থেকে চলাচল শুরু করেছে। এখন এ নৌপথে সাতটি ফেরি চলাচল করছে।
তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে ঘাটে যানবাহনের চাপ কমে এসেছে। এখনও পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৪০০ যানবাহন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যানজট অনেকটা কমে আসবে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন জানান, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল সীমিত থাকায় ১১ আগস্ট থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এ রুটে দ্রুতগতির আরও ফেরি প্রয়োজন। আগের ফেরিগুলো ছোট এবং ধীরগতির। এ কারণে সময় বেশি লাগছে। চাপ সামলাতে দ্রুতগতির কে টাইপের ফেরির জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পন্টুন থাকলেও নাব্য সংকটের কারণে রো রো ফেরি চলাচলা করতে পারছে না। এক নম্বর পন্টুনটি পুরোনো মডেলের। জোয়ারে পানি বাড়লে র্যাম্প তলিয়ে যায়। এ কারণে প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টা ওই পন্টুন দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকে। পন্টুনটি সরিয়ে বড় আকারের নতুন পন্টুনের জন্য বিআইডব্লিউটিএকে জানানো হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ১১ আগস্ট থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল সীমিত করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং পণ্য পরিবহনের জন্য শরীয়তপুর-চাঁদপুর ঘাট ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর থেকেই এ রুটে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। কস্তুরি ফেরি বিকল আর জোয়ারে পন্টুন তলিয়ে ফেরি বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ঘাট কর্তৃপক্ষকে।