কক্সবাজারের চকরিয়ার মাইক্রোবাস খাদের ডোবায় পড়ার ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় এ নিয়ে শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন দুইজন।
উপজেলার ভেণ্ডিবাজার এলাকায় গ্রিন ভ্যালি কমিউনিটি সেন্টারের পাশে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজ।
নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ সাধনপুর এলাকার পূর্ণিমা রুদ্র, তার চার বছরের ছেলে স্বার্থক রুদ্র ও শ্বাশুড়ি রানী রুদ্র, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের রতন বিজয় দে ও তার স্ত্রী মধুমিতা দে, একই উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের মো. ঈসমাইলের স্ত্রী হাজেরা বেগম।
আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন পূর্ণিমার স্বামী প্রদীপ রুদ্র ও তাদের সাত বছরের মেয়ে।
নিহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, হতাহতদের মধ্যে হাজেরা বেগম ছিলেন পথচারী। অন্যরা ছিলেন মাইক্রোবাসে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এসআই জানান, মাইক্রোবাসটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পথে চকরিয়ার ওই এলাকায় মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। সে সময় গাড়িটি রাস্তার পাশের বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে জমে থাকা পানিতে পড়ে যায়।
পুলিশ সেখানে গিয়ে মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে একে একে পাঁচ মরদেহ বের করে। আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে তিনজনকে পাঠানো হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আরেকজনকে ঘটনাস্থলের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সল জানান, আহত তিনজনকে সেখানে নেয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। অন্য দুইজন সেখানে চিকিৎসাধীন।
হাইওয়ে পুলিশের এসআই মো. সিরাজ পরে নিশ্চিত করেন, বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো আহত নারীরও মৃত্যু হয়েছে।